কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পুতিনের যবনিকা

বাংলা ট্রিবিউন ইউক্রেন কাজী আনিস আহমেদ প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২, ১৬:১৪

২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে রুশ সেনারা যেদিন ইউক্রেনের মাটিতে অভিযান শুরু করে, সেদিন পুতিন কিন্তু নিজেরও শেষ অধ্যায়ের পরোয়ানায় সই করে দিয়েছেন। দুঃখের বিষয়, ইউক্রেনীয়দের জন্য পরিসমাপ্তিটা যত জলদি জলদি দরকার তত জলদি আসবে না। তাদের বিশাল ক্ষতিতে পড়তে হবে। যা থেকে বাদ যাবে না খোদ রাশিয়াও।


বিজ্ঞজনেরা খুব তাড়াতাড়ি বলে দিয়েছেন, পুতিনকে নির্ঘাত ভীমরতিতে ধরেছে। একইসঙ্গে তথাকথিত গ্লোবাল লেফট ও গ্লোবাল সাউথ-এর পণ্ডিতরা তোতাপাখির মতো রুশ প্রপাগান্ডাই আওড়ে বেড়াচ্ছেন: তারা (ইউক্রেন) নিজেরাই এ দুর্দশা ডেকে এনেছে (ন্যাটোর সখ্যকে ইঙ্গিত করে)— তারা সত্যিকার অর্থে কোনও জাতি নয়; ইত্যাদি।


এটা ঠিক যে বার্লিন দেয়ালের পতনের পর পশ্চিমা বিশ্ব ওয়ারশ প্যাক্টের দেশগুলোর খোলনলচের ভেতরে ঘুঁটে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু তারা ইউক্রেনকে ন্যাটোতে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াগত কোনও কাজকর্ম কখনও শুরু করেনি। এখন যদি আমরা ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের’ প্রসঙ্গ টেনে আনতে চাই (প্রতিশ্রুতিটা লিখিত হোক আর অলিখিত)— তবে এটাও বলতে হবে যে ইউক্রেনও কিন্তু রুশ নিরাপত্তার চাদরে মাথা গোঁজার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। 


অধিকন্তু, ন্যাটোর বিস্তারের ভয়ে ২০০৮ সালে জর্জিয়ায় ও ২০১৪ সালে ইউক্রেনে হামলা করেছিল রাশিয়া। দুই দেশেরই কিছু ভূখণ্ড অবৈধভাবে ধরে রেখেছেন পুতিন। পশ্চিমাদের পিছু হটার জন্য এগুলোই যথেষ্ট ছিল, তারা তা করেছেও। যে কারণে নিকট অতীতে নতুন করে আর তেমন কিছু ঘটতে দেখা যায়নি। তাই, আগ্রাসনের জন্য ঠিক এ সময়টাকে বেছে নেওয়াটাকে বলা যায়, পুতিনের গোয়ার্তুমির এ যুদ্ধের গ্রহণযোগ্য কোনও অজুহাত নেই।


এরচেয়েও বেশি বিরক্তিকর যে ইউক্রেন জাতি হিসেবে যথেষ্ট বৈধতা পায়নি, কারণ  ইউক্রেন দীর্ঘদিন রাশিয়ার অংশ ছিল। সেই বিবেচনায় তো অনেক রাষ্ট্রেরই রাতারাতি সার্বভৌমত্ব হারিয়ে বসার কথা! 


আপাতত ইউক্রেনিয়ানদের দুর্দশার কারণেই এই যুদ্ধ থামানো দরকার। কিন্তু এখানে আদর্শজনিত একটা পয়েন্ট ওত পেতে বসে আছে—সার্বভৌমত্ব। যার কারণে এ যুদ্ধ কিছুটা ভিন্ন। ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধের মতো এটাও একটা অহেতুক যুদ্ধ। কিন্তু প্রথম থেকেই পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল যে ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধটা কোনও কিছু দখল করার তাগিদে শুরু হয়নি। তথাপি, যুদ্ধে মারা যাওয়া লাখ লাখ ইরাকি ও দুর্দশায় ভুগতে থাকা আরও কোটি কয়েক মানুষের জন্য ওই যুক্তি কোনও স্বস্তিদায়ক ব্যাপার নয়। তবে আমেরিকান সেনারা কিন্তু এখন আর ইরাকে নেই। বিপরীতে রাশিয়া কিন্তু ইউক্রেনে থেকে যাওয়ারই চিন্তা করছে। জর্জিয়া ও ইউক্রেনের একটা অংশে তারা ইতোমধ্যে তাদের অভিপ্রায় প্রমাণ করেছে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও