আমদানি আটকে গেছে র্যাবের
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ফলে কোনো কিছু আমদানি করতে পারছে না র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আগেই খোলা আমদানি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে কেনা যন্ত্রপাতি তৈরি অবস্থায় থাকলেও তা দেশে আনা যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত র্যাবের নামে আর নতুন করে এলসি খোলাও যাবে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুরোনো ৯টি এলসি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে র্যাব। এর মধ্যে দুটি এলসির বিপরীতে সাইপ্রাস থেকে ২১ কোটি টাকার 'নজরদারি যন্ত্রপাতি' প্রস্তুত রয়েছে; কিন্তু আনা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দুটি এলসির বিপরীতে ৩২ কোটি টাকার একই যন্ত্রপাতি দেশে এলেও বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আরও পাঁচটি এলসি নিয়ে প্রায় একই রকম সমস্যায় পড়েছে সংস্থাটি।
সরকারের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ ও ২০২১ সালে এসব পণ্য আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল র্যাব।
র্যাবের যে ৯টি এলসির দায় পরিশোধে সমস্যা হয়েছে, তার মধ্যে চারটির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এ তালিকায় রয়েছে- মোবাইল কমিউনিকেশন অ্যানালাইজার, ব্যাকপ্যাক আইএমএসআই ক্যাচার, জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার সাপোর্ট সিস্টেম এবং ব্রেইন ফিঙ্গারপ্রিন্ট। সাধারণভাবে মোবাইল ফোনে নজরদারি, ব্যক্তির অবস্থান শনাক্তের কাজে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এসব প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে প্রথম তিনটি পণ্যের উৎপাদনকারী দেশ সাইপ্রাস। তবে পণ্য আসার কথা সিঙ্গাপুর থেকে। শেষ পণ্যটির জন্য এলসি খোলা হয়েছে যুক্তরাজ্যের সরবরাহকারীর অনুকূলে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি, চীনের দুটি এবং অস্ট্রেলিয়ার একটি এলসির ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।