কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ইউক্রেন সংকট ও বাংলাদেশের করণীয়

সমকাল ইউক্রেন ড. ইমতিয়াজ আহমেদ প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২২, ১২:১২

চলমান ইউক্রেন সংকট অনেক প্রশ্নই সামনে নিয়ে এসেছে। প্রথমত প্রশ্ন দাঁড়ায়, বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এর বিরূপ প্রভাব কতটা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার বিরোধ কোনদিকে যায় তার ওপর। এরই মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। যুদ্ধাক্রান্ত দেশ থেকে যাতে শরণার্থীরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন, এর একটা ব্যবস্থা হলেও এ পথটা একেবারে নিস্কণ্টক হয়নি। তারপরও এ অবস্থায় ধারণা করা যায়, দু'পক্ষই বুঝতে পারছে- আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসা দরকার। রাশিয়া আরও বড় আকারে কিংবা শক্তি প্রয়োগ করে চূড়ান্ত অবস্থার দিকে যাচ্ছে না। এই যুদ্ধে হতাহতের চিত্র মর্মন্তুদ। একই সঙ্গে এও সত্য, এখন পর্যন্ত সেখানে যত মানুষ মারা গেছে, তার সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কভিড ১৯-এ যত মানুষ মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে কম। কথাটা এ জন্য বললাম, তাতে বোঝা যাচ্ছে, ধীরগতিতে আক্রমণ অব্যাহত রেখে রাশিয়া ইউক্রেনকে করায়ত্ত করতে চাচ্ছে।


ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার ভৌগোলিকভাবে বিভক্তিকরণের ঘটনা দূরের ইতিহাস নয়। উভয় দেশের মানুষের জীবনযাপন, সংস্কৃতিসহ নানা ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। ইউক্রেনে এখনও যে রুশ জনগোষ্ঠী রয়েছে, সংখ্যার আনুপাতিক হারে তা কম নয়। যদিও তারা ইউক্রেনে সংখ্যালঘু, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব তো শিকড়গাঁথা। আজ বিশ্ব গণমাধ্যম হয়তো ইউক্রেনে অবস্থিত এই সংখ্যালঘুদের নিয়ে তেমন কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করছে না, কিন্তু তাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করা যাবে না। তাদের নিয়ে কথা না বলার বিষয়টি আমার কাছে অবাক কাণ্ড মনে হয়েছে।
কারণ বর্তমান বিশ্বে সংখ্যালঘুর অধিকারের বিষয়টি বহুল আলোচিত। ইউক্রেনে সেই সংখ্যালঘুর হার প্রায় ২৫ শতাংশ। যে জটিলতা নানা কারণে সৃষ্টি হয়েছে, এর প্রেক্ষাপটও আলোচনার বিষয়।


রাশিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি যে রূপ নিয়েছে, এ অবস্থায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কত তাড়াতাড়ি বিদ্যমান সমস্যা সংকট সমাধানে এগোতে পারেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। একটা কথা মনে রাখা দরকার, মানুষ বন্ধু বা শত্রুকে পরিত্যাগ করতে পারে, কিন্তু প্রতিবেশীকে পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। এর পেছনে নানা কারণের মধ্যে ভৌগোলিক কারণটি মুখ্য। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চান বা না চান; রাশিয়ার প্রতিবেশী হয়েই তো থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনেরই গভীরভাবে ভেবেচিন্তে সমঝোতার পথে হাঁটার দায়টা বেশি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যেসব দাবি করছেন, তার সঙ্গে আছে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চাওয়া ইত্যাদি। তবে এর জন্য কিছু শর্ত পূরণ আবশ্যক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও