সোশ্যাল-ডিজিটাল-ওটিটি মাধ্যমের খসড়া প্রত্যাহারে ৪৫ আন্তর্জাতিক সংস্থার চিঠি
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) প্রস্তাবিত ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া প্রবিধানমালাটি মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গোপনীয়তাকে বিপন্ন করবে। এটি প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বিটিআরসিকে চিঠি দিয়েছে ৪৫ আন্তর্জাতিক সংস্থা। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রবিধানটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এনক্রিপশনকে দুর্বল ও অনলাইন নিরাপত্তাকে দুর্বল করবে। এ ছাড়া এটির প্রয়োগ মানবাধিকারের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া সাংবাদিক, ভিন্নমতাবলম্বী, মানবাধিকারকর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আরও বেশি ঝুঁকিতে ফেলবে।
এই প্রবিধানগুলোর মাধ্যমে বিচার বিভাগীয় তত্ত্বাবধান, স্পষ্টতা, পূর্বাভাসযোগ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষায় যথাযথ প্রক্রিয়ার অনুসরণ ছাড়াই একটি কাঠামো বাস্তবায়ন হবে। প্রবিধানগুলো মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামোর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।
ভারতে তথ্যপ্রযুক্তি বিধিমালা-২০২১ সমস্যাযুক্ত উল্লেখ করে সংস্থাগুলো তাদের চিঠিতে বলেছে, বিটিআরসির এ খসড়া ভারতের অনেকগুলো বিধানকেই প্রতিফলিত করে। ভারতীয় বিধিগুলো গণতন্ত্রকে আঘাত করে এবং তা অনুকরণ করা উচিত নয়।
বিটিআরসিকে খসড়া প্রবিধানটি প্রত্যাহার ও পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এটি ডিজিটাল নিরাপত্তাকে নষ্ট করবে এবং মানবাধিকার ও স্বাধীনতাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
মানবাধিকার রক্ষা এবং বিনা মূল্যে উন্মুক্ত ও নিরাপদ ইন্টারনেট-সুবিধা দিতে খসড়াটি প্রত্যাহার করা এবং পুনর্বিবেচনা করা অপরিহার্য। খসড়া তৈরির আগে অংশীজনদের সঙ্গে গভীর আলোচনার পরামর্শ দিয়ে সংস্থাগুলো বলেছে, এমন কিছু যেন না হয়, যা গণতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং জনগণের অধিকার ও মানুষের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করে।