ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ভিড়ে থাকা বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দূরতম সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু সেই জাহাজেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলো। ইউক্রেনে আটকা পড়ায় বাড়ির লোকজনের শঙ্কা ও উদ্বেগ ছিল তাঁকে নিয়ে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে জাহাজের বাইরে এসেছিলেন তিনি। কথা বলতে বলতেই গোলার আঘাতে মারা যান। জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলেও অন্য নাবিকেরা রক্ষা পান।
রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এটাকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে যে উত্তেজনা তাতে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষই এখন দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্ক্রিন এখন সয়লাব হয়ে যাচ্ছে যুদ্ধ, সংঘাতের নানা তথ্য এবং জয়-পরাজয়ের বিশ্লেষণে। প্রতিনিয়ত তথ্যের এ স্রোত আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আমরা পক্ষে-বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমরা কি প্রশ্ন করতে পারছি, যুদ্ধ বাঁধানোটা কাদের জন্য প্রয়োজন? যুদ্ধে কি শেষ পর্যন্ত কেউ জেতে?
সামরিক শক্তিতে দুনিয়ার দ্বিতীয় রুশ বাহিনীর আগ্রাসনে ইউক্রেন এখন বাস্তবিকই দুনিয়ার নরকে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ সবে দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। বোমারু বিমান থেকে সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্থাপনায় চলছে বোমা হামলা। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হচ্ছে বাড়িঘর-স্থাপনা। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে সংঘাতেও জড়িয়েছে দুই পক্ষ। একের পর এক শহর চারদিক থেকে ঘিরে বিমান, যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র ও ট্যাঙ্কের সাহায্যে দখলে নেওয়া হচ্ছে। সামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে বেসামরিক মানুষেরাও হতাহত হচ্ছেন। সেই মিছিলে নারী ও শিশুরাও বাদ যাচ্ছেন না।
- ট্যাগ:
- মতামত
- যুদ্ধ
- সামরিক শক্তি
- ইউক্রেন সংকট