কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংকটে কাঁচা পাট রপ্তানি কমে গেছে, হতাশ ব্যবসায়ীরা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২২, ১৭:০০

সোনালি আঁশ পাট তার জৌলুশ হারিয়েছে। পাটের এই দুর্দিন সংকটে ফেলেছে দেশের কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদেরও। এক যুগ আগেও যেখানে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে, সেখানে গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায়।


পাটবীজ আমদানি–নির্ভরতা, পাট পচানোর পানির সংকট ও পাটের মূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামাসহ নানা কারণে কৃষকদের পাট উৎপাদনে অনাগ্রহের পাশাপাশি কাঁচা পাট রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণের জায়গার অভাবে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশের কাঁচা পাট রপ্তানিকারকেরা।


কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ) সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশের মোট ৭০টি প্রতিষ্ঠান পাট রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠান ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল ও ব্রাজিলসহ বিশ্বের অন্তত ১৪টি দেশে বর্তমানে কাঁচা পাট রপ্তানি করছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে এসব দেশে মোট ১ হাজার ৯০৭ কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৬০ কোটি টাকায়। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে মোট রপ্তানি হয়েছে ৬০৩ কোটি টাকা। অথচ ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও ১ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে।


কাঁচা পাট রপ্তানি কমে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে জানান বিজেএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে পাট উৎপাদন কমে যাওয়া, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে কাঁচা পাট রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণের জায়গার অভাব, কাঁচা পাটের অবৈধ মজুত ও আমদানিকারক দেশগুলোর সিনথেটিক পণ্যের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় কাঁচা পাট রপ্তানি কমে গেছে। আরজু রহমান বলেন, ভারত, পাকিস্তান ও চীন কাঁচা পাটের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ভারত ও পাকিস্তানে একসময় সিনথেটিক মোড়ক নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত পাট সরবরাহ না থাকা এবং বাংলাদেশের পাটের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় তারাও এখন সিনথেটিক পণ্যের প্রতি ঝুঁকছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও