বৈষম্যমুখী প্রণোদনার ধারাই কি বহাল থাকবে?
বাংলাদেশের ব্যবসা ও শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের একটি সাংগঠনিক চর্চা এই যে সুযোগ পেলেই নানা অছিলায় তাঁরা সরকারের কাছে ঋণ ও সুদ মওকুফ, নগদ ভর্তুকি, কর ও শুল্ক হ্রাস, স্বল্পসুদে সহজ শর্তের ঋণ ইত্যাদি বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা ও সুবিধা দাবি করে থাকেন। তবে তাঁদের সবার দাবিদাওয়াই যে সমহারে পূরণ হয়, এমনটি বলা যাবে না। এসব দাবিদাওয়া পূরণে সাফল্যের মাত্রা নির্ভর করে দাবি উত্থাপনকারী শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যকার কার তদবির কতটা পোক্ত বা কর্তৃপক্ষীয় মহলের সঙ্গে তাঁদের কার যোগাযোগ কতটা শক্তিশালী, তার ওপর। যেমন পরিবহন মালিকদের দাবিদাওয়া প্রায় কখনোই বিফলে যায় না, পোশাক খাতের মালিকদেরটাও না।
নির্মাণ খাত হয়তো কখনো পায় আবার কখনো খানিকটা ভোগে; তবে শেষ পর্যন্ত তাদেরটাও টিকে যায়। আর যেসব সংগঠনের সঙ্গে দাবিদাওয়া পূরণকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের নিজেদেরই স্বার্থ জড়িত, তাঁদের দাবি পূরণের হার শতভাগকেও ছাড়িয়ে যায়। মোটকথা, যে উদ্যোক্তাদের সংগঠন আছে, দেশশাসনের প্রয়োজনে সরকার তাঁদের প্রতি এতটাই উদার যে জনগণের করের অর্থ থেকে তাঁদের প্রত্যেকের জন্যই কিছু না কিছু প্রণোদনা বণ্টন হয়েই যায়।