কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গভীর রাতের শব্দ দূষণ কে থামাবে!

বাংলা ট্রিবিউন ঢাকা মেট্রোপলিটন প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪০

রাজধানীর বনশ্রী আবাসিক এলাকা। কথা হয় সি ব্লকের এক নং রোডের বাসিন্দা মিনহাজুল আবেদীনের (ছদ্মনাম) সঙ্গে। ভোরের আগেই ইদানিং ঘুম ভেঙে যাচ্ছে তার। বাসার কাছেই শুরু হয়েছে নতুন ভবন নির্মাণকাজ। ক’দিন ধরে চলছে পাইলিং। গভীর রাতে বিকট শব্দে ট্রাকগুলো নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসে। নির্লিপ্তভাবে সেগুলো নিচে ছুড়ে ফেলতে থাকে শ্রমিকরা। সঙ্গে আছে তাদের চিৎকার-হট্টোগোলও। ভোররাতের নিয়মিত বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। এ নিয়ে আবার কিছু বলার জো নেই মিনহাজের। কারণ তিনি ভাড়াটিয়া। তাদের সমস্যা সমাধানের কেউ না থাকলেও, এলাকার বাড়িওলারা আবার একজোট। সঙ্গত কারণে তাই চুপচাপ শব্দ দূষণ হজম করেন তিনি।


শান্তিনগরের মিনাবাজারের পাশের গলি। ভবন নির্মাণের কাজ চলছে বেশ অনেক দিন ধরেই। পাশের এক বাসায় থাকেন রিনা বেগম (ছদ্মনাম)। বয়স ষাটের ঘরে। একবার ঘুম ভাঙলে সহজে আসে না। কিন্ত অনেক দিন ধরেই চলছে বাড়ি নির্মাণের কাজ। ভয়াবহ শব্দ দূষণের শহুরে জীবনকে মেনে নিয়েই আধোঘুমে দিন কাটছে রিনা বেগমের।


দূষণের সঙ্গে উটকো ঝামেলা হিসেবে রিনার ঘরে যোগ হয়েছে ধুলোর অত্যাচার। প্রতিদিনই বাসায় ধুলোর স্তর জমে। অনেক দিন ধরেই পোহাচ্ছেন এ যন্ত্রণা। ধুলোর কারণে রিনা বেগমের কাশিটাও ইদানিং বেড়েছে।


রাজধানী ঢাকার অনেক এলাকার চিত্র এমনই। রাস্তায় মেট্রোরেল-এক্সপ্রেসওয়ের কাজতো চলছেই। বাড়ির পাশে দিন-রাত চলতে থাকা যান্ত্রিক গুঞ্জনটাকেও জীবনের অংশ মেনে চলতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।


স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, রাজধানীর জিরো পয়েন্ট দেশের সবচেয়ে বেশি শব্দ-দূষিত এলাকা। দিনে সব সময় এখানে ৮০-৮৫ ডেসিবেল থাকে শব্দের মাত্রা। কাছের পল্টন বাস স্ট্যান্ড, সার্ক ফোয়ারা, শাহবাগও শব্দ দূষণের তালিকায় এগিয়ে। নির্মাণকাজের জন্য কোথায় কেমন শব্দ দূষণ হচ্ছে তা নিয়ে তেমন কোনও গবেষণা নেই কারও। তবে গত সাত মাস ধরেই নাগরিকরা রাতে নির্মাণকাজের শব্দ দূষণের অভিযোগ করছেন বলে জানা গেছে। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে দেখা যায় না কোনও কর্তৃপক্ষকেই।


বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো, রাতের শব্দদূষণ শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী মায়েদের ওপর তীব্র প্রভাব ফেলছে। দিনে যারা শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন তাদের শ্রবণক্ষমতা ২৫ ভাগও কমে যেতে পারে। তাই বিষয়টি নিয়ে সজাগ হওয়ার পারমর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও