মনের ক্ষত সারবে কবে
ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এইচডিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জেসমিন আক্তার (৩৫) সারাক্ষণ চুপচাপ থাকেন। হঠাৎ হঠাৎ হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন এই নারী। জেসমিনের স্বামী খলিলুর রহমান বলেন, ‘মোর সব শেষ। ওরে নিয়া এহন চিন্তায় আছি।
তিনটা বাচ্চা চোখের সামনে শেষ! ক্যানে হ্যাডা সহ্য করি কন...। ’
লঞ্চের আগুনে জেসমিনের দুই সন্তান মাহিনুর (৭) ও তামিম (৮) মারা গেছে। তিনি ছিলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেই অনাগত সন্তানও মারা গেছে। শরীরের ১২ শতাংশ পুড়লেও মানসিক যন্ত্রণায় কাতর তিনি। স্বামী খলিলও সন্তানদের শোকে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। বরগুনার এই দম্পতি গত এক মাস হাসপাতালে।
বরগুনার বেতাগীর মোকামিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুর রহমান ও তাঁর চার বছরের মেয়ে কুলসুমকে এক মাস ধরে খুঁজছে স্বজনরা। আরিফই তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগম বলেন, ‘বাড়িতে বসে তাদের ফিরে পাবার আশায় দিন কাটে আমার। আমার এক মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী, ছেলেটা ছোট। কিভাবে সামনের দিনগুলো চলবে, সেই চিন্তায় দিশেহারা। ’