সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার থাকতে হবে

দেশ রূপান্তর প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৩৯

মানতেই হবে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের আমলে নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে এ দেশের বড় সংখ্যক মানুষের। কিন্তু ঘুষ, দুর্নীতি, সরকারি ও সরকার-সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং অন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ভারসাম্যহীনতা, দলীয় সন্ত্রাস, সড়ক ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলা, উৎকট দলীয়করণ নীতি, বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতি মানুষের স্বস্তির অনেকটা অংশ কেড়ে নিয়েছে। এসবই হয়েছে ও হচ্ছে সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বলে এবং রাজনৈতিক সুবিধা লাভের অভিপ্রায়ে। এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অন্তত ইসি পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ আমাদের পরবর্তী নির্বাচনের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ স্পষ্ট করছে। বিগত জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোর প্রকৃতি দেখে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ছেড়েই দিচ্ছিল অনেক হতাশ মানুষ। নির্বাচনী গণতন্ত্র নিয়ে দেশি-বিদেশি চাপেও আছে সরকার। এ কারণে হয়তো সরকারকে গভীরভাবে ভাবতে হয়েছে। তাই বোধহয় চলমান অবস্থা থেকে বেরোতে চাইছে সরকার।


এর প্রতিফলন দেখতে পেলাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে। একমাত্র নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের গৎবাঁধা রাজনৈতিক বক্তব্যটুকু ছাড়া নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের পরও কোনো পক্ষ নির্বাচন নিয়ে তেমন অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেনি। কোনো ধরনের সংঘাত-গোলযোগ ছাড়াই উৎসবমুখর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখেছে দেশের মানুষ। এই নির্বাচনে সরকারের বড় অর্জন সরকার পক্ষ এবার বলতে পারবে বর্তমান সরকারের অধীনেও ভালো নির্বাচন করা সম্ভব।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও