কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নাসিক নির্বাচনে ইভিএম ও স্মার্ট বুথ

যুগান্তর এম. মেসবাহউদ্দিন সরকার প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৮:২৪

বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কয়টি কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়। মোট ১৪,৪৩৪টি বুথে ২৮,৮৬৮টি ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগে ইভিএমে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে ৫.২৮ শতাংশ, ঢাকা-৫ আসনে ১০.৪৩ শতাংশ এবং নওগাঁ-৬ আসনে ৩৬.৪৯ শতাংশ ভোট পড়ে। একই বছর ১২ নভেম্বর উপনির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে ১৪.১৮ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ৫১.১৯ শতাংশ ভোট পড়ে। ইতঃপূর্বে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবং বর্তমানে চলমান দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ব্যাপক হারে ইভিএম ব্যবহৃত হচ্ছে। আগামীতেও সব জাতীয় ও স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন ও পৌরসভা) নির্বাচনে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে নির্বাচন কমিশনের।


এ ধারাবাহিকতায় আজ রোববার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন পুরোটাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেওয়া হচ্ছে এবং ভোটের গোপনীয়তা রক্ষায় এই প্রথম স্মার্ট বুথের পরীক্ষামূলক ব্যবহার থাকছে এখানে। একটি কেন্দ্রের ১০টি কক্ষে স্মার্ট ভোটকক্ষ (বিশেষ বোর্ডের ফোল্ডার দিয়ে তৈরি) পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হবে। সফল হলে আগামীতে সব নির্বাচনে এ ব্যবস্থা প্রয়োগ করবেন কমিশন। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও টাঙ্গাইল-৭ আসনের উপনির্বাচন এবং ৫টি পৌরসভায় ভোট রয়েছে একই দিনে ইভিএম পদ্ধতিতে। যান্ত্রিক ত্রুটি না হলে ইভিএম দিয়ে ভোট দিতে সময় কম লাগে, কাগজের পরিবর্তে ব্যালট, আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিন্ত করা, বাটন চেপে ভোট দেওয়া ইত্যাদি কারণে ভোট দিতে আসা ভোটারদের মধ্যে ইভিএম নিয়ে অনেক কৌতূহল থাকে।


উল্লেখ্য, দেশে প্রথমবারের মতো সব কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয় ১৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে নরসিংদীর পৌরসভা নির্বাচনে এবং পরে ৫ জানুয়ারি ২০১২ সালে কুমিল্লার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এর আগে আংশিক ও পরীক্ষামূলকভাবে ৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়। এগুলো হলো ২০১০ সালে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের ১৪টি কেন্দ্রে ও ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশনের ৫৮টি কেন্দ্রে। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহৃত হয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ২৪নং এবং ২৭নং ওয়ার্ডের সব কয়টি কেন্দ্রে ইভিএম দিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৮) ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহৃত হয়। আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে-ঢাকা-৬ ও ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২ আসন। পরবর্তীকালে জুন মাসে বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে সবকটি সেন্টারে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়। অবশ্য বাংলাদেশে ২০০৭ সালে প্রথম ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচন ই-ভোটিং পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও