দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকছেন? যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন
করোনা মহামারির প্রকোপ একটু করে কমলেও আবার ফিরে যাচ্ছে স্বরূপে। মরণঘাতি এই ভাইরাসের খামখেয়ালি আচরণে তটস্থ থাকতে হচ্ছে আমাদের। বাইরে বের হওয়ার আগে তাই কিছু সতর্কতা মানতেই হচ্ছে। সঙ্গে পয়সাপাতি না রাখলেও চলে, কিন্তু মুখে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। মুখে মাস্ক না থাকলে বেশিরভাগ স্থানে প্রবেশই করা যাবে না।
দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকলে অসুবিধা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এমন ধারণা প্রচলিত যে, দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকলে শরীরে বেড়ে যেতে পারে কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব। এর ফলে সমস্যা হতে পারে নিঃশ্বাস নিতে। অনেকের আবার ত্বকে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মাস্ক সম্পর্কে ছড়িয়ে পড়া এসব তথ্য আসলে কতটা সত্যি? আপনাকে যদি দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকতে হয় তবে কোন বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
বিশেষজ্ঞদের মত হলো, মাস্ক পরার কারণে কখনো শ্বাস প্রশ্বাস জনিত সমস্যার সৃষ্টি হয় না। এটি ব্যবহারের কারণে ভাইরাসের ড্রপলেট আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। সেইসঙ্গে বাতাসে ছড়িয়ে থাকা সব ধরনের ময়লা ও ফ্লু থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। এসব কারণেই বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। ভাইরাস যেহেতু বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, তাই মাস্ক পরা জরুরি।
আমেরিকান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল থেকে জানানো হয়েছে, মাস্ক পরার কারণে শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে কখনো কখনো হাঁফ ধরে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে। তখন মাস্কটি কিছু সময়ের জন্য সরিয়ে নিতে পারেন। খুব ভারী ধরনের মাস্ক পরলেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে নরম কাপড়ের বা সার্জিক্যাল মাস্ক পরলে এ ধরনের সমস্যা হয় না। কারণ এর ছিদ্রের ভেতর দিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই একই কারণে এ ধরনের মাস্ক পরতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ হলো, করোনার ড্রপলটের আকার co2 এর থেকে অনেক বেশি। তাই ফিল্টার যুক্ত মাস্ক পরতে হবে, কারণ এতে কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রভাব পড়ে না। এন ৯৫ মাস্কের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে না।