সুগন্ধা একটি নদীর নাম...
কাগজে-কলমে লঞ্চটি যে মাস্টারের চালানোর কথা, তিনি চালাচ্ছিলেন না। এমন ঘটনা কানে পৌঁছাতেই মনে পড়ল ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালকের পরিবর্তে একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সবই তো সম্ভব, তাই না? চারপাশে ঘন অন্ধকার। মাঝে আগুনের লেলিহান শিখা দলা পাকিয়ে দাউ দাউ উল্লাসে জ্বলছে। আগুনের নিচে অথই পানি। পানির ওপরে আগুন জ্বলতে দেখা যায় না সচরাচর। আগুন নেভাতে পানি লাগে। অথচ সেই পানির ওপরই আগুন জ্বলে।
আগুন নেভে না; বরং আগুন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিল, দেহ ছাই করে দিল। আবার বেঁচে থাকার ইচ্ছে জাগিয়ে মানুষকে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে ইন্ধন দিল। নাসিরুল্লাহ স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে প্রাণে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিলেন। স্ত্রীকে ফিরে পেলেন, কন্যা তাবাসসুমকে পেলেন না। আবার ইসমাইল আকন বৃদ্ধ মাকে বাঁচাতে তাঁকে নিয়ে পানিতে ঝাঁপ দিলেন স্ত্রী-কন্যাকে লঞ্চে রেখে। মা বেঁচে গেলেন, কিন্তু স্ত্রী-কন্যাকে আর ইসমাইল আকন খুঁজে পেলেন না। এভাবে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দিলেন। কেউ সাঁতরে তীরে উঠল। কেউ পানির তলে হারিয়ে গেল। সবই ঘটতে লাগল বেঁচে থাকার আর্তনাদে, আর্তচিৎকারে। আহারে কী মায়া জীবনের!