সাহাবিরা যেভাবে হাদিস বর্ণনা করেছেন
নবী (সা.)-এর কথা, কাজ এবং তাঁর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি সবই হাদিসের অন্তর্ভুক্ত। তাই হাদিস শরিফ হচ্ছে নবী-জীবনের বিশদ বিবরণ। নবী-জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব ঘটনা বিস্তারিতভাবে হাদিসের কিতাবে বিদ্যমান আছে। হাদিস শরিফ যেমন নবী (সা.)-এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি, তাঁর আচার-ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়েরও মূল্যবান দলিল, তেমনি তা কোরআনের পরে শরিয়তের বিধি-বিধানের গুরুত্বপূর্ণ উৎস ও প্রমাণ। কেননা রাসুল (সা.)-এর হাদিস ও সুন্নাহ হলো কোরআনে কারিমের ব্যাখ্যা।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আপনার প্রতি নাজিল করেছি কোরআন, যাতে আপনি মানুষকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিতে পারেন, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৪) আর আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি আর আমিই এর হেফাজতকারী।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯) ওই আয়াতের ঘোষণায় স্বয়ং আল্লাহ তাআলা কোরআনে কারিমের হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন কথা হলো যে কোরআনে কারিম শুধু শব্দাবলির নামই নয়, বরং তা শব্দ এবং মর্ম ও ব্যাখ্যা উভয়টির সমন্বয়েই গঠিত। এতে প্রমাণিত হয় যে কোরআনে কারিমের শব্দ এবং মর্ম ও ব্যাখ্যা উভয়টিই মহান আল্লাহ কর্তৃক সংরক্ষিত। অতএব কোরআনে কারিমের মতো রাসুল (সা.)-এর হাদিস ও সুন্নাহও সংরক্ষিত।