বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের আগে অনেক অনিয়ম
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) গত ১১ নভেম্বর ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজন প্রার্থী ছাড়া বাকি ৪৮ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার দেখানো হয়। পরে জানা যায়, সবার সই জাল করে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে; যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকারীরা। ভয়াবহ জালিয়াতির এ অভিযোগ তদন্তও করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সত্যতা পাওয়ায় স্থগিত করা হয় ভোট।
এবারের ইউপি ভোটে সংসদ সদস্য (এমপি), উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালীদের পছন্দের প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতে এমন নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সংসদের বৈঠকেও প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন, তার দলের প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা চাপ দিচ্ছেন।
এখন পর্যন্ত চার ধাপের ভোটে তিন হাজার ৪০টি ইউপিতে ২৯৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। প্রথম ধাপে ৩৬৪টি ইউপিতে ৭১ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টির মধ্যে ৭৭, তৃতীয় ধাপে ১০০১টির মধ্যে ১০০ এবং চতুর্থ ধাপে ৮৪২টির মধ্যে ৪৮ চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট ছাড়াই জয়লাভ করেছেন। বিনা ভোটে জয়ী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি, আর্থিক প্রলোভনসহ রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা হয় না। এর কারণ সম্পর্কে একাধিক প্রার্থী বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার এমন চিত্র তারা মেনে নিয়েছেন। অভিযোগ দিলে প্রতিকার পাওয়া যাবে- এমন কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছেন না।