তৃতীয় বিশ্বযু্দ্ধ কি আমাদের দোরগোড়ায়?
‘মিউচুয়ালি অ্যাশিওর্ড ডেস্ট্রাকশন’ আধুনিক কালে যুদ্ধকৌশলে খুবই আলোচিত কথা। দুই বা ততোধিক পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সর্বাত্মক একটি যুদ্ধ বেধে যাওয়ার মানে হচ্ছে একে অপরের দিকে ফিশন, ফিউশন উভয় ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রবাহী আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) এবং সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসএলবিএম) ছুড়ে দেবে।
এর মানে, তারা নিশ্চিতভাবেই পরস্পরকে ধ্বংস করবে। এটাই হচ্ছে ‘মিউচুয়ালি অ্যাশিওর্ড ডেস্ট্রাকশন’। বলা হয়, এমন বাস্তবতাই দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে নিবৃত্তকারী (ডেটারেন্ট) হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, আরেকটা সর্বাত্মক বিশ্বযুদ্ধ হতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি, বিষয়টি এতটা সরল নয়।
মধ্যপ্রাচ্যের উত্তাপ কমেছে, কিন্তু আছে এখনো, ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া-ন্যাটো সংকট আবার ভীষণ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, এগুলো প্রচণ্ড ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি। কিন্তু অনেক বিশ্লেষকের মতো আমিও মনে করি, মূল ঝুঁকি অন্যখানে। চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা যে পর্যায়ে গেছে, অদূর ভবিষ্যতে সেখানে একটি যুদ্ধ শুরু হতে পারে। শুধু তাইওয়ানের সঙ্গে নয়, দক্ষিণ চীন সাগরের সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমা হিসাব করলে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে অন্তত ১৭টি দেশের।