![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2021-12%252F07145b6b-2a4e-410a-b962-3bc27a59e146%252Fprothomalo_bangla_2021_10_0a964d6e_6c5c_4741_be83_31970424540a_lead_alternative.jpg%3Fauto%3Dformat%252Ccompress%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.0)
সব কটিই কি আত্মহত্যা?
এমন দিন খুব কম যায়, যেদিন পত্রপত্রিকায় আত্মহত্যার খবর থাকে না। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশে গড়ে দৈনিক ২৮ জন আত্মহত্যা করেন। বেশির ভাগ ২১ থেকে ৩০ বছরের নারী। এ ছাড়া বাংলাদেশে ৬৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যার ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছেন। তাঁদের বেশির ভাগই অল্প বয়সী এবং ৮৯ শতাংশই নারী। প্রতিবছরই বাংলাদেশে আত্মহত্যার হার বাড়ছে। তবে করোনাকালে পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।
পাবলিক পরীক্ষার আগে ও পরে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা এখন প্রায় আতঙ্কের পর্যায়ে চলে গেছে। সফল-অসফল সব পরীক্ষার্থীর মধ্যে আত্মহত্যার ঝুঁকি দেখা যায়। অন্য ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করে অভিভাবকদের চিরাচরিত আগ্রাসী ভর্ৎসনা অনেক শিক্ষার্থীকে আত্মহত্যার মতো হঠকারী সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দেয়। যাঁদের সন্তানেরা কথিত ‘ভালো ফল’ করেন, তাঁদের অতি আদিখ্যেতামেশানো বিজ্ঞাপন, ফেসবুক স্ট্যাটাস অন্য শিক্ষার্থীর নিগ্রহের কারণ হয়ে ওঠে অনেক সময়। আনন্দে উদ্বেলিত অভিভাবকেরা সেদিকে খেয়াল করেন না। উদ্যাপনের লাগামছাড়া ‘শোডাউন’–এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তাঁরা একটু সচেতন হলে অনেক প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব।
- ট্যাগ:
- মতামত
- আত্মহত্যা
- আত্মহত্যার হুমকি