 
                    
                    ছুটি ও ঝুঁকিভাতা চান রেলের গেটম্যানরা
টিনের ঝুপড়ি ঘরে ট্রেনের অপেক্ষায় গেটম্যান রণদীপ সরকার। সাইরেন বাজতেই সচকিত হয়ে উঠলেন। খালি চোখে ট্রেনের দেখা মেলে না। এক দৌড়ে রেললাইনের লেভেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল গেটে গিয়ে যানবাহনের গতিরোধ করলেন রণদীপ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এফডিসি মোড়ের লেভেল ক্রসিংয়ে দুই বছর ধরে এভাবে কাজ করছেন তিনি। জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে এই গেটম্যান জানান, প্রতিদিন ৯৫টা ট্রেন পার হয় এফডিসি মোড়ের লেভেল ক্রসিং দিয়ে। তিনি আট ঘণ্টার ডিউটির মধ্যে ৩৫-৪০টা ট্রেনের সিগন্যাল দেওয়ার কাজ করেন।
অর্থাৎ তার দায়িত্ব পালনকালে গড়ে ১২-১৫ মিনিট পরপর ট্রেন যায় এই ক্রসিং দিয়ে। সে হিসাবে রণদীপের অবসরের ফুরসৎ নেই বললেই চলে। এফডিসি মোড়ে লেভেল ক্রসিং চারটি, যেখানে তিন শিফটে কাজ করেন ১২ গেটম্যান। এর মধ্যে ছয়জন স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত, ছয়জন মাস্টাররোলে অর্থাৎ চুক্তিভিত্তিক। রণদীপের চাকরিও মাস্টাররোলে। রেলের ইনফরমেশন বুকের তথ্যমতে, সারাদেশের রেল নেটওয়ার্কে লেভেল ক্রসিং দুই হাজার ৮৫৬টি। যার মধ্যে এক হাজার ৭৬১টিই অনুমোদনহীন। এসবের মধ্যে মাত্র ২৪২টিতে রেলের স্থায়ী রক্ষী বা গেটম্যান আছেন।
 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                 
                    
                