অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়ানো ছাড়া কী দেবে অকাস
‘অস্ট্রেলিয়ার সৈন্যরাই সম্ভবত পশ্চিমা সৈন্যদের প্রথম ব্যাচ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের জীবন বিসর্জন দিতে যাচ্ছে।’ চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এমন কঠোরভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল অকাস গঠনের পর। তবে চীন সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ সংযত। তারা এই জোট গঠনকে ‘পশ্চিমের শীতল যুদ্ধের মানসিকতা’ বলে উল্লেখ করেছে। অস্ট্রেলিয়া-ইউকে-ইউএস অ্যালায়েন্সকে (অকাস) চীনের ভালোভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। চীনকে ঠেকানোর খোলামেলা লক্ষ্য নিয়েই এই জোট গঠিত হয়েছে।
অকাস তিন দেশের একটি ত্রিমাত্রিক কৌশলগত প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি জোট। এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রথমত অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন জোগান দেওয়া। দ্বিতীয়ত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (যেখানে চীনের নৌশক্তির ক্রমাগত ও শক্তিশালী উত্থান ঘটছে) একসঙ্গে কাজ করা এবং তৃতীয়ত, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।