ঋণং কৃত্বা গাড়ি সেবা নগদায়ন
কিমাশ্চর্য! কিম কিম! ঋণ করার এমন বিজ্ঞাপনী মোহন বাণীর জন্ম হয়েছিল এই ভারতে সেই আদি যুগেরও অনাদিকালে! জান ভরে ঘি খেয়ে যান, যাবজ্জীবন সুখে কাটান; লাগলে ধার-কর্জ নিন নিঃসংকোচে। “ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ/যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ।” নাস্তিকপন্থি চার্বাক দর্শনের এ-কথাটাই এখনকার অতীব আস্তিক সভ্য (!) যুগের ভোগবাদী বিশ্বে জীবনাদর্শ হয়ে উঠেছে। করপোরেটওয়ালারা নিত্যনতুন ভোগের পণ্য হাজির করছে চারপাশে, আর ভোগ নগদায়নে ঋণ-সুবিধার হাতছানি দিয়ে ভোগের লালসা বাড়িয়ে চলেছে। নতুন করে জানতে পারলাম এই বুড়ো বয়সে (হতে চাইনি, বানিয়ে দিয়েছে এজি অফিস আমার পেনশন-বহিতে অবসরের কারণ ‘বার্ধক্য জনিত’ লিখে!), খোদ ঋণই নাকি প্রডাক্ট, অ্যাসেট তাদের কাছে।