সরকার ও কারখানা মালিকদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন
করোনাভাইরাস মহামারির দেড় বছরে সবচেয়ে ভয়াল সময় পার করছে বাংলাদেশ। অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও এই সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
ঈদুল আযহার পর পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে আরও বেশি। শয্যা পেতে রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় ছুটছেন স্বজনরা। কারণ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে এখন শয্যার চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে রোববার থেকে তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর থেকেই শনিবার চাকরি বাঁচাতে হন্যে হয়ে ঢাকার দিকে ছুটতে শুরু করেন শ্রমিকরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া গুণে আর দিনভর বিপুল ভোগান্তি মাথায় নিয়ে বিভিন্ন উপায়ে রাজধানী ও এর আশপাশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন তারা। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করেই বাধ্য হয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে পাড়ি দেন উত্তাল পদ্মা ও যমুনা।