একটি বই ও সত্যের অপলাপ-৩
বিতর্কিত ডা: কালীদাস বৈদ্যের লেখা বইটির ১১১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, “১৯৭০ সালের জানুয়ারিতে গঠিত হলো ‘জাতীয় গণমুক্তি দল’-একটি অ-সাম্প্রদায়িক জাতীয় রাজনৈতিক দল।... লাহোর প্রস্তাবে ভারতের দুই অঞ্চলে দুটো সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব ছিল। গণমুক্তি দল সেই লাহোর প্রস্তাবকে জনগণের সামনে তুলে ধরল।... কিন্তু আলাদা রাষ্ট্রের কথা বললেই, রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে অভিযুক্ত হতে হবে। তাই বাইরে স্বায়ত্তশাসনের কথা বললেও ভেতরে ভেতরে স্বাধীনতার প্রস্তুতি চলতে থাকে। নতুন এই গণমুক্তি দলের আমি হলাম প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
শ্রী চিত্তরঞ্জন সুতার হলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বিশিষ্ট সমাজসেবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদী নেতা শ্রী মুনীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য হলেন সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট শ্রী মলয় রায় হলেন প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম সম্পাদক।... গণমুক্তি দলের ঘোষণাপত্রে স্বায়ত্তশাসনের দাবির আড়ালে স্বাধীন পূর্ববঙ্গ রাষ্ট্র গঠনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল।” ১০৭ পৃষ্ঠায়, ‘এভাবে বাইরে ৬ দফা দাবির কথা বললেও ভেতরে ভেতরে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম ধাপের কাজ চালিয়ে গিয়েছি।’ ১৪৩ পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, ‘তারা (পাকিস্তানিরা) ভালোভাবেই জানত যে, সব হিন্দুই পাকিস্তানকে ভাঙতে চায়। কিন্তু সব মুসলমান তা চায় না।’