যে কারণে অনন্য উচ্চতায়
পৃথিবীতে একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় আছে যার সঙ্গে একটি রাষ্ট্রের জন্মের রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। যে যুবক বিশ্বমানচিত্রে এঁকে দিয়েছেন এক নতুন দেশের নাম, তার পদচারণায় মুখরিত হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। এই বিশ্ববিদ্যালয় আর সেই স্বপ্নদ্রষ্টা মানুষের শতবর্ষে পদার্পণ পরপর দু'বছরে। আর দেশটির বয়স হলো অর্ধশত বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইতিহাসের অনন্য স্থানে উচ্চাসনে কেন রাখতে হবে তা ভাবার জন্য খুব বেশি গভীরে যেতে হয় না। কারণ, পৃথিবীতে এটিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এমনকি ক্যান্টিন পরিচালকও আত্মাহুতি দিয়েছেন একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে। শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে তাই সব অর্জন ছাপিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আত্মত্যাগী মহান মুক্তিযোদ্ধা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবেদিতপ্রাণ শহীদ ও অন্যান্য মহতী মানুষের বীরত্বগাথা দৃশ্যপটে ভেসে ওঠে।