রাজনীতিতে উত্তর-আধুনিকতার প্রভাব
১৯৪৪ সালে ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ফ্রাংকফ্রুর্ট স্কুল চিন্তক অ্যাডর্নো এবং হকহেইমার ‘ডায়ালেক্টিক অব এনলাইটেনমেন্ট’ নামক পুস্তকে আধুনিকতাকে গণপ্রতারণা হিসাবে চিহ্নিত করার পর চিন্তারাজ্যে সীমাহীন নৈরাজ্য দেখা দেয়। ধর্মীয় মহা-আখ্যানগুলোর পাশাপাশি পুঁজিবাদ, মার্কসবাদ, উদারনৈতিকতাবাদ, উপযোগবাদসহ চিরায়ত প্রতিষ্ঠিত কাঠামোগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেই ক্ষান্ত থাকেনি উত্তর-কাঠামোবাদীরা, খোদ ইউরোপীয় সাদা সভ্যতাসহ পুরো আধুনিকতাকে বিতর্কিত করে তুলেছে আধুনিকতার এ অধিপাঠ। শিল্পবিপ্লব যদি আধুনিকতার ভিত্তিভূমি হয়, তবে তথ্যপ্রযুক্তি হলো উত্তর-আধুনিকতার উর্বর জমিন। সিগমন্ড ফ্রয়েডের আনকনশাসে চিন্তাজগতের সীমাহীন স্বাধীনতার কারণে মনের কথার সন্ধানে লিপ্ত হয়েছে মানুষ। সন্দেহের বাতাবর্তে পরাবাস্তববাদী প্রভাব শিল্প, সাহিত্যের পাশাপাশি রাজনীতিতেও সত্যের সুলুক সন্ধানে ব্যাপৃত হয়। অধুনা তথ্যপ্রযুক্তি এ আগুনে ঘি ঢেলে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ত বিচলিত ও বিভ্রান্ত করে চলেছে।