
এই ঈদে আসুন ঘরেই থাকি
ঈদ এসেছে। দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণও অনেক বেড়ে এখন কিছুটা থমকে আছে। লকডাউন পুরোপুরি সফল না হলেও যতটুকু হয়েছে তার কিছুটা সুফল পাওয়ার কারণে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন কিছুটা কম। অথচ এই লকডাউন যদি সফল করা যেত, তাহলে আমরা এই হারগুলো অনেক কম দেখতে পেতাম। অনেক দেশেই এই সফলতার উদাহরণ রয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউনে থাকার পর তাদের দেশে এখন মার্কেট, রেস্টুুরেন্ট, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় সবই খুলছে; কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে এবং স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে। নইলে তারা জানে যে এই শর্ত ও বিধিগুলো না মানলে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আবার বেড়ে যাবে এবং আবার লকডাউনের প্রয়োজন হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব মনিটরিংয়ের উপাত্ত মতে, আমাদের পাশের দেশ ভুটানে করোনার প্রথম রোগী ধরা পড়ে আমাদের দেশের মতোই গত বছরের মার্চ মাসে। ৬ তারিখে। আমাদেরটা ছিল ৮ তারিখে। ল্যাব পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। কিন্তু এই ছয় ঘণ্টার মধ্যে সে কার কার সঙ্গে মিশেছিল, তা গোয়েন্দাদের মতো ট্রেকিং করে বের করে তাদেরও, যাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০, কোয়ারেন্টিন করে ফেলা হয়। তারপর হয় তাদের করোনা টেস্ট। এরপর চিকিৎসা। করোনাকে রুখতে আসুন না আমরা ভুটানের মতো হই।