মুনিয়ার ফ্ল্যাটে ‘৬টি ডায়েরি’ পেয়েছে পুলিশ
গুলশানের যে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে ছয়টি ডায়েরি পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের ‘প্ররোচনায়’ এই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন অভিযোগ করে তার পরিবার ইতোমধ্যে থানায় মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই তরুণীর মৃহদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধারের সাথে ৬টি ডায়েরি পাওয়া যায়। এসব ডায়েরিতে কী লিখা আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।”
বসুন্ধরার এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রাজধানীর গুলশানে তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মঙ্গলবার আবেদন করেছে পুলিশ। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন বলেন, সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, কারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকেও সায়েম সোবহান যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মামলার বাদী ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান।