রিজার্ভ চুরির পাঁচ বছর পরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা কাটেনি

বণিক বার্তা বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ০৯:৫০

দেশে আন্তঃব্যাংক ডিজিটাল লেনদেনের অন্যতম একটি মাধ্যম ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার বা ইএফটি। এক দশক আগে সেবাটি চালু হলেও তুলনামূলকভাবে এর পরিসর ছিল সীমিত। কিন্তু চলমান মহামারীতে ইএফটির মাধ্যমে লেনদেন বেড়েছে। লেনদেনের বাড়তি চাপ সামলাতে না পেরে ১৩ এপ্রিল অকার্যকর হয়ে পড়ে ইএফটি, যা আবার চালু করতে সময় লেগেছে প্রায় এক সপ্তাহ।


ইএফটির মতোই ১৩ এপ্রিল অকার্যকর হয়ে যায় আন্তঃব্যাংক চেক নিষ্পত্তির প্রধান মাধ্যম বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ (বিএসিএইচ)। একই দিন আন্তঃব্যাংক রেপো ও কলমানি লেনদেনের এমআই মডিউলও অকার্যকর হয়ে যায়। কারিগরি ত্রুটির শিকার হয়ে ডাউন হয়ে যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তিগত এ বিপর্যয়ের ফলে থমকে যায় দেশের ব্যাংক খাতের পেমেন্ট ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পেমেন্ট ব্যবস্থায় যে বিপর্যয় হয়েছে, সেটি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথম।


হঠাৎ করে ব্যাংক খাতের পেমেন্ট ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করেছে বণিক বার্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইসিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট বিভাগ, পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হয়। মতামত নেয়া হয় ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রযুক্তি সহায়তা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও আইটি বিশেষজ্ঞদের।


তারা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতের লেনদেনের আকার ও পরিমাণ বিচারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রযুক্তি সক্ষমতা অনেকটাই দুর্বল। রিজার্ভ চুরি হওয়ার পরও প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে যথাযথ নজর দেয়া হয়নি। ছোটখাটো ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ব্যাংক পুরোপুরি ভেন্ডর প্রতিষ্ঠাননির্ভর। দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়া কিংবা নিজস্ব জনবলকে দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট মনোযোগ দেয়া হয়নি। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিনিয়োগও যৎসামান্য। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রযুক্তিগত ভঙ্গুরতা কাটেনি। উল্টো ত্রুটি-বিচ্যুতি সারিয়ে তুলতে কর্মকর্তাদের উদাসীনতা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও