কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গড়ে ১০১ মৃত্যু, বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে যাদের

বাংলা ট্রিবিউন স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:০১

দেশে করোনায় মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। ১৭ এপ্রিল করোনায় একদিনে মৃত্যু শতকের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর এখন পর্যন্ত শতকের ঘরেই অবস্থান করছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যু ১১২ জনের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তাছাড়া ন্যাশনাল টেলিহেলথ সেন্টারের প্রতিবেদন বলছে আক্রান্তদের বেশিরভাগই তরুণ এবং মধ্যবয়সী।


রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটও (আইইডিসিআর) একই তথ্য জানায়। করোনায় মৃতদের বেশিরভাগই ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, তার সঙ্গে বর্তমান করোনার ঢেউতে যুক্ত হয়েছে ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা। তাই স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


 ন্যাশনাল টেলিহেলথ সেন্টারের গত ১৬ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ বলে, আক্রান্তের দিক থেকে প্রথম সারিতে আছেন ২৫- ৩৪ বছর বয়সের তরুণ-তরুণীরা। এরপর আছে ৩৫-৪৪ বছর বয়সী এবং ৪৫-৫৪ বছর বয়সীরা।


কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত ১৬জন


কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের প্রদত্ত তথ্য মতে, কুষ্টিয়া জেলায় ০২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। পিসিআর ল্যাবে ১৯ এপ্রিল ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখ মোট ২৮২ টি স্যাম্পলের (কুষ্টিয়া জেলার ১৭৮টি (এর মধ্যে ৩১টি এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে), ঝিনাইদহ জেলার ৪৪ টি, মেহেরপুর জেলার ১৪টি, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩১টি এবং বিদেশ গমন ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ৪৬টি) স্যাম্পলের টেষ্ট করা হয়েছে।


চট্টগ্রামে করোনায় আরো ৮ জনের মৃত্যু


চট্টগ্রামে করোনায় আরো আট জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীতে সাত জন এবং জেলায় একজনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৩৪৭ জনের। মঙ্গলবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।সোমবার চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন ৫ জন। 


চাঁদপুরে করোনায় রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু


চাঁদপুরে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের মধ্যে দুইজন করোনা পজিটিভ এবং পাঁচজন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান।  সোমবার (১৯ এপ্রিল) জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতদের শারীরিক অবস্থা জটিল ছিল। ফলে অক্সিজেন দিয়েও তাদের রক্ষা করা যায়নি।


করোনায় উৎকণ্ঠা শিশুদের নিয়ে


করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুও। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারিয়েছে ৪০ শিশু। অন্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার কম। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে সে সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী।


গত ২ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই বছরের শিশু সাদিকুলের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সাদিকুলের বাবা সাদ্দাম হোসেন জানান, কিডনিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিল সাদিকুল। গত ২০ মার্চ তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


বাইরের চেয়ে ঘরই করোনা সংক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ


করোনাভাইরাস শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায়। এসব বিষয়ে নতুন এক গবেষণার পর ইউনিভার্সিটি অব কলোরাডো বোল্ডারের বিজ্ঞানী জোস লুইস জিমেনেজ বলেছেন, ‘ঘরের ভিতর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, ঘরের ভিতর আবদ্ধ থাকে। সেখানে বাতাসের চলাচল কম থাকে। তবে ঘরের বাইরে কম বিপজ্জনক। কারণ, এখানে বাতাসের চলাচল বেশি থাকে।’ সূত্র : এএফপি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও