মামুনুলের ৩ বিয়ে, কাবিন একটির : পুলিশ
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বিয়ে নিয়ে কয়েকদিন থেকেই আলোচনায় । গ্রেপ্তারের পর প্রথম রাতেই পুলিশকে জানিয়েছেন তিন বিয়ের কথা; এর মধ্যে শুধু প্রথম বিয়ের কাবিন আছে, পরের দুটির নেই।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে ৩ এপ্রিল এক নারীসহ আটকের পর ভাংচুর ও সহিংসতার ঘটনার পাশাপাশি একাধিক বিয়ের ঘটনায় আবার আলোচনায় আসেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় এই নেতা।
গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ রোববার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামুনুল তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন।
“এই তিনটি বিয়ের মধ্যে একটির কাবিন করেছেন। বাকি দুইটির কাবিননামা করেননি বলে মামুনুল বলেছেন।’’
মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড দেশ ও ধর্মের জন্য হুমকিস্বরূপ : তথ্যমন্ত্রী
গ্রেপ্তার হওয়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের কর্মকাণ্ড দেশ, সমাজ ও ধর্মের জন্য হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মামুনুল হকের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
যে কারণে মামুনুল হকের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই আদেশ দেন।
রিমান্ড আবেদনে যা আছে
গত বছরের ৬ মার্চ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর সাত গম্বুজ জামে মসজিদে বাদী জি এম আলমগীর শাহীন আমল করতে যান। সে সময় আসামি মাওলানা মো. মামুনুল হক ও তাঁর ভাই মোহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার (সাত মসজিদ মাদ্রাসা) ছাত্র ওমর ও ওসমান দুজনে এসে বাদী জি এম আলমগীর শাহীনসহ তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যদের আমল করিতে নিষেধ করে।
আরও বলা আছে, আসামিরা বাদীসহ তাঁর সহযোগীর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে ও মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৬ মার্চ ৮টা ৪০ মিনিটে আসামি ওমর, ওসমান, শহিদ, মাওলানা আনিস এবং জহির মসজিদের মধ্যে এসে বাদীর সঙ্গে থাকা মো. আসাদুর রহমান, আব্দুল মোতালিব, মিজানুর রহমান, আলী মোর্শেদ, ইয়াকুব আলী, শফিক, আরব রহমান, হাজি ইউসুফ বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে।
রিমান্ড আবেদনে বলা আছে, বাদী তাদের রক্ষা করতে গেলে আসামি জহির বাদীকে মারধর করতে থাকেন। এরপর উক্ত আসামি মাওলানা মো. মামুনুল হক ও তাঁর ভাই অত্র মামলার ৬ নম্বর আসামি মোহতামিম মাহফুজুল হকদ্বয়ের নির্দেশে মাদ্রাসার আরও প্রায় ৭০/৮০ জন ছাত্র মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। তারা বাদীকে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। ওমর ও ওসমান তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আসামি ওমরের লাথির আঘাতে বাদীর বাম চোখে গুরুতর জখম হয়। আঘাতের কারণে বাদী মসজিদের ভেতরে শুয়ে পড়ে।
রমজানে ইবাদতের সুযোগ চান মামুনুল হক
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ড শুনানি চলাকালে বিচারক মামুনুলকে বলেন, ‘আপনার কি কিছু বলার আছে?’ জবাবে মামুনুল বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি প্রতি রমজান মাসে ৬ বার কোরআন শরীফ খতম দেই। রমজান মাস পবিত্র মাস। এই মাসে আমি যেন রোজা, নামাজ ও কোরআন পড়তে পারি তার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আবেদন করছি।’
হেফাজত নেতা মামুনুল হক গ্রেপ্তার
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (১৮ এপ্রিল) বেলা একটার দিকে তাঁকে মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মিনিট দশেক আগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।