রাস্তায় বেরিয়েছেন অনেকে, হাতে বাজারের ব্যাগ
ঢাকায় ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার রাস্তায় তুলনামূলক বেশি যানবাহন ও মানুষের চলাচল দেখা গেছে। সকালে মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার এলাকায় রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার বেশি দেখা গেছে। অনেকেই বের হয়েছেন বাজার করতে।
মোহাম্মদপুরে রাস্তা দিয়ে বাজারের ব্যাগ হাতে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ চুন্নু মিয়া। তিনি বললেন, ‘অফিস বন্ধ, তাই একটু ঘুরতে বের হয়েছি। দূরে আমার একটা সবজি বাগান আছে। সেখান থেকে শাক নিয়ে আসলাম।’
কারওয়ান বাজার ও এর আশপাশের সড়কগুলোতে বাজারের ব্যাগ হাতে বেশি মানুষ দেখা গেছে। অনেককে বাজারের ব্যাগ হাতে ফুটপাত ধরে আসা-যাওয়া করতে দেখা গেছে।
নিষেধ আর ছুটির আমেজে ফাঁকা ঢাকার রাস্তা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন চলছে। অন্যদিকে আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ দুটোর আমেজে রাজধানী ঢাকার রাস্তা আজ ফাঁকা। গত দুইদিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের চাপ নেই বললেই চলে। আর আজ যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন, তাদের অধিকাংশই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে বাসায় ফিরছেন।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর লিংকরোড, গুদারাঘাট, গুলশান-১ ও গুলশান-২ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, অন্য দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ির চাপ অনেকটা কম। খুব জরুরি কাজে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাসা থেকে বের হয়েছেন কয়েকজন। এছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না। গত দুই দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় প্রাইভেট কার ও রিকশার সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম।
সিলেট নগরের সোবহানীঘাট সবজির আড়তে ভোর থেকে ক্রেতাদের ভিড়। নগরের কাজীর বাজারেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকের মুখে নেই কোনো মাস্ক। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। আবার কারও মুখে মাস্ক থাকলেও তা নেই যথাস্থানে।
গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে মাছ-সবজি কিনছেন ক্রেতারা। আড়ত থেকে কেনা সবজি ভ্যানে সাজিয়ে রাখছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যপাশে বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাকে করে আনা মালামাল নামাতে ব্যস্ত কয়েকজন শ্রমিক।
লকডাউনে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশকে মারধর, আটক ৪
জয়পুরহাটে লকডাউনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা তিন ট্রাফিক পুলিশকে মারধর করেছে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের বিআইডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আলমগীর জাহান জানান।