‘করোনায় নয়, না খেয়েই মরে যাব’
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ফের ফুলের ব্যবসা শুরু করেছিলেন দুর্গা রানী সাহা। এরই মধ্যে ফিরে এল সেই দুঃসময়। অনুষ্ঠানাদি বন্ধ। শুরু হলো লকডাউন। দুর্গা রানী ফুল ছেড়ে ফের মাস্ক নিয়ে বসেছেন। কিন্তু ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফুলওয়ালার কাছে দেনা পড়েছে ৮০ হাজার টাকা। দুর্গা রানী বলছেন, ‘আমাদের করোনা ধরবে না। তাই করোনায় নয়, না খেয়েই মরে যাব।’
রাজশাহী নগরের ভুনারিপট্টি এলাকায় দুর্গা রানীর স্বামীর যে বাড়ি, তা দখল হয়ে গেছে। দুর্গার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে জনিও সাত বছর বয়স থেকে মায়ের পাশে ফুলের দোকানেই বসেছেন। এ ছেলে বিয়ে করেননি, আলাদা বাসায় থাকেন। ছোট ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজ করেন। বিয়ে করে আলাদা থাকেন। দুর্গা রানী নগরের আলুপট্টি এলাকায় স্বামীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।