কীর্তনখোলায় হঠাৎ উচ্চমাত্রার লবণ
বরিশাল নগরের কীর্তনখোলা নদীতীরের ডিসিঘাট এলাকায় চায়ের দোকান সোলায়মান মিয়ার। চা বানাতে তিনি নদীর পানি ব্যবহার করেন। কিছুদিন ধরে লোকজন চায়ের কাপে মুখ দিয়ে বলছেন, ‘চায়ে লবণ লাগে।’ তাঁদের কথা শুনে সোলায়মানের খটকা লাগে। প্রথমে ভাবেন হয়তো চিনিতে লবণ মিশেছে। চিনি মুখে দিয়ে দেখেন, না, ঠিকই আছে। পরে সোলায়মান বুঝতে পারেন নদীর পানি লবণাক্ত।
বরিশালের স্বাদুপানির নদী কীর্তনখোলায় আগে লবণাক্ততা ছিল না। এবারই প্রথম পানিতে লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়েছে। লবণাক্তের সর্বোচ্চ সহনীয় মাত্রা ১ হাজার ২০০ মাইক্রো সিমেন্স/সেন্টিমিটার। সেখানে মার্চে এই নদীর পানি পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে ১ হাজার ৩৬২ সিমেন্স/সেন্টিমিটার। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে তা ছিল মাত্র ৩০০ সিমেন্স/সেন্টিমিটার।