এত কিছু বলে অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়েন: প্রধানমন্ত্রী

প্রথম আলো জাতীয় সংসদ ভবন প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১৮:৩২

হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হকের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এত কিছু বলে অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়েন। এই বিনোদনের এত অর্থ কোত্থেকে আসে, এটা দেশবাসী বিচার করবে। আইন আইনের গতিতে চলবে।


আজ রোববার একাদশ সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।


হেফাজতে ইসলাম পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের চরিত্র কেমন তা মানুষ দেখেছে। তিনি বলেন, পারলারে কাজ করা এক মহিলা। এদিকে বউ হিসেবে পরিচয় দেন। আবার নিজের বউয়ের কাছে বলেন যে ‘অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এটা বলে ফেলেছি।’ যাঁরা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন, এ রকম মিথ্যা কথা বলতে পারেন? অসত্য কথা তাঁরা বলতে পারেন? তাঁরা তো মিথ্যা বলতে পারেন। কাজেই তাঁরা কী ধর্ম পালন করবেন? মানুষকে কী ধর্ম শেখাবেন?


আমার ওপর যেন আল্লাহর গজব পড়ে, যেন ধ্বংস হয়ে যাই: মামুনুল হক


গত দুই দিন ধরে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও তার সঙ্গে থাকা এক নারীকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও শুরু থেকেই মামুনুল হক দাবি করেছেন ওই নারী তার স্ত্রী।


বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর রবিবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এদের চরিত্রটা কী তা বলতে চাই না। গতকালই আপনারা দেখেছেন। ধর্ম ও পবিত্রতার কথা বলে অপবিত্র কাজ করে ধরা পড়ে এরা।’


মামুনুলের আরও ঘটনা জানানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে গিয়ে তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ওই তথ্য সঠিক নয়। রোববার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, “সোনারগাঁও উপজেলার একটি বেসরকারি হোটেলে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হক একজন মহিলাকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। টেলিভিশনে ওই মহিলা কে তা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন। তিনি তার স্ত্রী নন। এ বিষয়ে আরো ঘটনা জেনে সবাইকে জানাব।”


মামুনুলের সঙ্গে বিয়ের কথা জানেন না সেই নারীর মা-বাবা


গত দুই দিন ধরে দেশ জুড়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও তার সঙ্গে থাকা এক নারী। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে এক নারীসহ মামুনুলকে ঘিরে রাখে স্থানীয়রা। যদিও শুরু থেকেই সেই নারীকে তার স্ত্রী হিসেবেই দাবি করে আসছিলেন মাওলানা মামুনুল হক।


তবে সেই নারীর পরিচয় প্রকাশ পেতে খুব একটা সময় লাগেনি। ওই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্না (৩০)। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. ওলিয়ার রহমান ওরফে ওলি মিয়ার মেজো মেয়ে তিনি। ওলিয়ার রহমান গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রাম ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।


মামুনুল হকের ভিডিও-অডিও নিয়ে তোলপাড়


সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের ভিডিও-অডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শনিবার (০৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্ট থেকে নারীসহ তাকে স্থানীয়রা আটকের পর উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে থাকা ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেন মাওলানা মামুনুল হক। বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি না করার পাশাপাশি, হেফাজত নেতাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও