ব্যাংক লেনদেন চলবে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত

জাগো নিউজ ২৪ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২১, ১৭:১৪

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এ পরিস্থিতিতে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চালু থাকবে।


লকডাউনের সাতদিন দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলো সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গ্রাহক লেন‌দেন কর‌তে পার‌বে। অর্থাৎ, লেনদেন হবে আড়াই ঘণ্টা, আর ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর ২টা পর্যন্ত।


রোববার ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব সাইট সুপারভিশন থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।


সীমিত পরিসরে চালু থাকবে ব্যাংক


লকডাউনের মধ্যে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে দেশের ব্যাংকগুলো।


ক্রম অবনতিশীল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে রোববার (৪ এপ্রিল) সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।


লকডাউনের ঘোষণায় ব্যাংকে টাকা তোলার হি‌ড়িক


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এ সময় ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালুর কথা বলা হয়েছে। এ ঘোষণার পর রাজধানীর ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। চলছে টাকা তোলার হি‌ড়িক। এ অবস্থায় গ্রাহ‌কদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরা।


লকডাউনে ২ ঘন্টা লেনদেন হবে পুঁজিবাজারে


দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা পুঁজিবাজারে লেনদেন চলবে। ব্যাংকের সময়সূচীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেনের এ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।


সকাল ১০ টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচী নির্ধারণ করে আজ বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি


দেশে করোনার সংক্রমণ রোধে আগামী এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।


প্রজ্ঞাপনে দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো-


১. সব প্রকার গণপরিবহন সড়ক, রেল ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন উৎপাদন ব্যবস্থার জরুরি সেবা দানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া বিদেশগামী ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না।


২. আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- ত্রাণ বিতরণ স্বাস্থ্যসেবা বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর সমূহের স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবার জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এবং তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এই নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে।


৩. সব সরকারি-আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত অফিস-আদালত এবং বেসরকারি অফিস কেবল জরুরি কাজ সম্পাদনের জন্য সীমিত পরিসরে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় অফিসে আনা নেওয়া করতে পারবে। শিল্প-কারখানা ও নির্মাণকার্য চালু থাকবে। শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়া করতে হবে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে শিল্প-কারখানা এলাকায় নিকটবর্তী সুবিধাজনক স্থানে তাদের শ্রমিকদের জন্য ফিল্ড হাসপাতাল/চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।


৪. সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়, চিকিৎসাসেবা মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।


৫. খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় কেবল খাদ্য বিক্রয় ও সরবরাহ করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া যাবে না।


৬. শপিং মলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। তবে দোকানগুলো পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং অন্য কোনো শহরে যেতে পারবে না।


৭. কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে।


৮. ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।


৯. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ঢাকায় সুবিধাজনক স্থানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


১০. সারাদেশে জেলা ও মাঠ প্রশাসন উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল জোরদার করবে।


১১. এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও