মিয়ানমারে ইন্টারনেট পরিষেবা আরও সীমিত করল জান্তা সরকার
মিয়ানমারে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর এর প্রতিবাদে দেশটিজুড়ে প্রতিদিন রাস্তায় নামছে হাজারও মানুষ। এর মধ্যেই ইন্টারনেট পরিষেবায় লাগাম টানার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আনতে চাচ্ছে সেনা সরকার।
এর আগে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেয় পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হয় মিয়ানমারের বেশির ভাগ নাগরিক। অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন দমনে এর আগে মোবাইল ডাটায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল জান্তা সরকার।
মিয়ানমারে গেরিলা বিক্ষোভের ডাক দিলো সাধারণ জনগণ
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রতিবাদে দেশবাসীকে ‘গেরিলা’ কায়দায় প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা এর আগে রাতভর মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়, অভ্যুত্থান-বিরোধী বিভিন্ন গোষ্ঠী এখন নিজেদের মধ্যে রেডিও তরঙ্গ, অফলাইন ইন্টারনেটের কায়দাকানুন ও মোবাইল বার্তার মাধ্যমে নিউজ অ্যালার্ট সরবরাহকারীদের নাম্বার বিনিময় করে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে প্রায় অর্ধশত শিশুকে হত্যা
ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৪৩ জন শিশু নিহত হয়েছে। শিশু অধিকার রক্ষা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি যেকোনো শিশুর জন্য দুঃস্বপ্নের মতো। নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী শিশুটির বয়স মাত্র ৬ বছর।
মিয়ানমারে নিহত বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে
মিয়ানমারে চলমান জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে দিন দিন বাড়ছে সহিংসতা ও নিহতের সংখ্যা। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন ৫০০ জনেরও অধিক বিক্ষোভকারী। এর ফলে ক্রমেই আলোচনার টেবিলে আসার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।
মিয়ানমারের বেসরকারি সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের দেয়া তথ্যমতে, দুই মাস ধরে চলমান এ বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫১২ জন বেসামরিক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শনিবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নিহত হয়েছেন অন্তত ১১৪ জন বিক্ষোভকারী, যা দেশটিতে একদিনে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের সংখ্যায় সর্বোচ্চ।