করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনা
করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে ১৮ দফার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন। এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এটা মানতে হবে। আগামী অন্তত দুই সপ্তাহ এই নির্দেশনা মানতে হবে। ১৮ দফার মধ্যে কয়েকটি হলো: ১. সব ধরনের (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম সীমিত করতে হবে। ২. মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ন্যূনতম উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/সিনেমা হল/থিয়েটার জনসমাগম সীমিত করতে হবে। ৪. রাত ১০টার পর অপ্রয়োজনের ঘরের বাইরে নয়। যে এলাকাগুলোয় লকডাউনের কথা ভাবা হচ্ছে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখীতে দেশে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন আসতে পারে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আজই হয়তো এর ডিক্লিয়ারেশন আসতে পারে।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিভিন্ন টাইপের লকডাউন আসবে।’ করোনা রোগী বৃদ্ধির হারে এখন এগিয়ে বরিশাল অঞ্চল দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। কিছুদিন ধরে প্রায় সব জেলাতেই নতুন রোগী বাড়ছে। এর মধ্যে এখন রোগী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল অঞ্চলে। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার সব কটিতেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও তুলনামূলক বেশি। চিকিৎসকসহ ৮১৬৫ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ১৩৪ করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে আট হাজার ১৬৫ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে দুই হাজার ৮৯৪ জন চিকিৎসক, এক হাজার ৯৮৪ জন নার্স এবং তিন হাজার ২৮৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১৩১ জন এমবিবিএস ও তিনজন ডেন্টালসহ ১৩৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। করোনাকালে নতুন এনআইডি নিয়েছেন ৪৫ লাখ মানুষ ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে অন্যান্য সেবার মতো জাতীয় পরিচয় পত্রও অনলাইনে দেয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর পর থেকে চলতি বছরের ২৩ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে নতুন এনআইডি কার্ড ডাউনলোড বা উত্তোলন করেছেন ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ৩৬৯ জন। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। করোনায় মৃত্যু প্রায় ২৮ লাখ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকাদান জোরেশোরে চললেও করোনাভাইরাস মহামারির পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এক বছরের বেশি সময় ধরে করোনা মহামারিতে প্রায় ২৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১২ কোটি ৭৭ লাখের বেশি মানুষ।