‘হুজুরের হাত অনেক লম্বা’, জজিয়তির জীবনভর এ কথাই শুনে এসেছি। অধস্তন আদালতে বিচারককে আইনজীবীরা সচরাচর ‘হুজুর’ বলেই সম্বোধন করেন, এটি চলে আসছে বহুকাল থেকেই। ইংরেজিতে সাধারণত ‘স্যার’, কালেভদ্রে ‘ইয়োর অনার’ চলে। অন্তর্বর্তী আদেশ, বিশেষত জামিনের আদেশ নিতে দরখাস্তকারীর আইনজীবীর সব কথার শেষ কথা থাকত এটাই। (এখনকার খবর জানা নেই, ওসব শোনাশুনির মধ্যে আমি আর নেই।) এসব আদেশ দিতে নাকি বিচারকের ‘ডিসক্রিশন’ আছে! ‘হুজুর’ ইচ্ছে করলেই মঞ্জুর করতে পারেন! এমন স্তুতিবাদে মজে বেশি লম্বা হাত দেখিয়ে হুজুরদের নিজেদেরই লম্বা হওয়ার নজির ঘটে। ভাগ্যবানরা পুণ্যবান! তারা পান পদ, বাকিরা বিপদ। পিছলে পড়েন পদোন্নতি থেকে, ক্ষমতা খাটো হয়, কখনো-বা জজিয়তিই খুইয়ে হন একেবারে ঠুঁটো। শোকজ, তলব তো আছেই। অভাগাদের তাই বুঝতে হয় ‘ডিসক্রিশন’ মানে হুজুরের খেয়ালখুশির লম্বা হাত নয়, বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিচারকের সুবিবেচনা।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.