দেশে করোনার ৩৪ নতুন স্ট্রেইন
করোনাভাইরাস ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশে চার হাজার ৬০৪ বার মিউটেশন বা রূপ পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে ৩৪টি রূপ একেবারেই নতুন। অর্থাৎ পৃথিবীর আর কোনো দেশে এই রূপ বা স্ট্রেইনগুলো পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের গবেষকরা মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ৩৭১টি জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গবেষকরা করোনাভাইরাসের এই নতুন ৩৪টি স্ট্রেইনের নাম দিয়েছেন ‘বাংলা মিউটেশন’।
করোনার টিকা নিয়ে পাঁচটি প্রশ্ন
১. করোনার টিকা নেওয়া কি নিরাপদ? এ প্রশ্ন এখনো অনেক মানুষের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। টিকা দেওয়া শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রেও মানুষের মধ্যে টিকা নিতে ইতস্তত ভাব দেখা দিয়েছে। সিবিএসের এক নতুন জরিপে দেখা যায়, রিপাবলিকানদের এক-তৃতীয়াংশ টিকা নিতে চায় না, আরও ২০ শতাংশ টিকা নেবে কি না, নিশ্চিতভাবে বলতে পারেনি। ডেমোক্র্যাটদের ১০ শতাংশ টিকায় অনীহা দেখিয়েছে। আগের জরিপেও প্রায় এ রকমই মতামত এসেছিল। অথচ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ক্ষমতাসীন থাকার শেষ দিকে চুপেচাপে টিকা নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিষয়টিকে উৎসাহিত করেননি। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিষিদ্ধ করেছিল। সে তুলনায় আমাদের দেশে বরং প্রশ্ন কম। একেবারে যে নেই, তা নয়। কিন্তু উৎসাহের অভাব রয়েছে। যদিও বিশ্বের সেরা ভাইরোলজিস্ট ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, টিকা নেওয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও সেটা তেমন কিছু না। করোনার টিকা নিরাপদ বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন।
করোনাভাইরাসে আরও ২৬ মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত এক দিনে আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৮৬৮ জন। শনিবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে মারা যাওয়া ২৬ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৬৬৮ জনের মৃত্যু হল।
করোনায় আক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। শনিবার (২০ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর (ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) ডা. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
করোনার সংক্রমণ তিন কারণে ঊর্ধ্বমুখী
মূলত তিনটি কারণে দেশে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যে পরিবর্তিত ধরন বা ইউকে ভেরিয়েন্ট দেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ সময়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করছে উষ্ণ আবহাওয়া। স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে অবাধ চলাফেরাও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রাখছে। অবশ্য জেনেভার বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এক প্রতিবেদনে বলেছে, আবহাওয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাসের ব্যাপকতার সম্পর্কটি এখনো স্পষ্ট নয়। ভবিষ্যতে মৌসুমি রোগ হিসেবে কোভিড-১৯ থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।