রামু থেকে নোয়াগাঁও বিস্তৃত ক্ষত

সমকাল ড. মোহীত উল আলম প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২১, ১১:৫০

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বললেন, এবার সময় এগিয়ে যাওয়ার, তখন থেকেই খুব অনুপ্রাণিত বোধ করছিলাম। ভাবছিলাম দেশটির তো ৫০ বছর পূর্ণ হলো, এখন আর ঠেকায় কে? কিন্তু এই সুখবোধটুকু বেশিক্ষণ রইল না। ১৮ মার্চ সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন দেখে হতভম্ভ হয়ে গেলাম। পত্রিকার শিরোনাম 'সুনামগঞ্জে হেফাজত-সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট : মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি, যুবক গ্রেপ্তার'। মোদ্দাকথা হলো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে সে রকম একটি ঘটনা ঘটে গেল সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে।

১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে 'শানে রিসালাত' সম্মেলনে হেফাজত নেতা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যের সূত্র ধরে নোয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাস আপন তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি প্রতিক্রিয়ামূলক স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কথিত করে হেফাজতের সমর্থকরা আপনের গ্রেপ্তার দাবি করে। আপনকে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়, কিন্তু তার পরের দিন সকালে হেফাজতের স্থানীয় কয়েক হাজার সমর্থক দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আপনের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা চালায়। হামলা চালানোর আগে তারা মাইকিংও করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আতঙ্কে হাওরে গিয়ে আশ্রয় নেন। তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি উপাসনালয়েও। একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের সঙ্গে দুটি ছবিও প্রকাশিত হয়। একটি ছবিতে আক্রমণকারীদের কোনো একজনের অস্ত্র-উঁচানো ছবি, আরেকটি হচ্ছে ভাঙচুরকৃত কোনো বাড়িঘরের ছবি। এ যেন রামু আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এ রকম দৃষ্টান্ত আরও আছে। আগের ঘটনাগুলোর বিচার এখনও সম্পন্ন হয়নি। নোয়াগাঁওয়ের বর্বরোচিত ঘটনাসহ এমনসব ঘটনার দ্রুত বিচার হোক- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও