জঙ্গিরা দুর্বল হয়েছে, নির্মূল হয়েছে কি?

সারাক্ষণ বিভুরঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২১, ১৭:৪০

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনের পর দেশে জঙ্গি উৎপাত কমে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের কোথাও জঙ্গি হামলার খবর শোনা যায়নি। তাই বলে এটা ভাবা ঠিক হবে না যে দেশ থেকে জঙ্গিদের শিকড় উপড়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। তাদের শক্তি ক্ষয় হয়েছে, তারা দুর্বল হয়েছে কিন্তু নির্মূল হয়নি। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত এক বছরে তিন শতাধিক জঙ্গি গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।

বছর কয়েক আগে নিয়মিত বিরতি দিয়ে দেশে জঙ্গি আস্তানার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। জঙ্গিরা কৌশল বদল করে একবার রাজধানী তো পরেরবার জেলা শহর, তো তারপরে আবার নিভৃত পল্লি, আবার ঢাকা। এক আস্তানা বা এক জায়গায় আস্তানা গাড়ছে না। ভিন্ন নাম ও পরিচয়ের জঙ্গি মাঝে মাঝেই গ্রেপ্তার হয়েছে, মারা পড়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে। সরকার জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। তাদের কোনো ছাড় দেয়া হচ্ছে না। একটা জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, জঙ্গিদের শক্তি দুর্বল করে দেয়া হয়েছে। বড় ধরনের নাশকতা করার সক্ষমতা তাদের নেই। গত দেড়-দুই বছরে বেশ কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি নিহত অথবা আত্মঘাতী হওয়ার পরও তাদের তৎপরতা বন্ধ হয়নি। ২০১৯ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকায় একটি বড় নাশকতার পরিকল্পনা জঙ্গিদের ছিল। পান্থপথের একটি আবাসিক হোটেলে পুলিশের অভিযানে এক জঙ্গি নিহত হয়েছিল। আগেভাগে জানা না গেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তার কয়েক দিন আগে মিরপুর মাজার রোডের একটি বাড়িতে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আত্মঘাতী হয়েছে কয়েকজন জঙ্গি। ওই বাড়িতে যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল, তা থেকে তাদের অবস্থান দুর্বল হয়েছে– এমন ধারণা সত্য মনে হয় না। আমাদের দেশের মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে– এটা বলে আমরা একপ্রকার স্বস্তিবোধ করলেও সময় এসেছে এ বিষয়ে আরো বেশি অনুসন্ধানী হওয়ার। জঙ্গিবাদের শিকড় আমাদের সমাজের গভীরে কতটুকু প্রথিত হয়েছে, তার নির্মোহ অনুসন্ধান প্রয়োজন। আর জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটনের জন্য শুধু পুলিশি ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল না থেকে অন্য কিছু দিকেও জরুরি মনোযোগ দেয়া দরকার।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও