দণ্ড মওকুফে নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আলজাজিরার তথ্যচিত্র যে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, তার কিছু দিক এখনও ধূম্রজালে আবদ্ধ। অন্যদিকে এ বিতর্কের বহু পূর্বেই অর্থাৎ, ২০১২ সালে উচ্চ আদালতে একটি বেঞ্চ দণ্ডিত ব্যক্তিদের নির্বাহী ক্ষমতার প্রয়োগের বিষয়টি বৃহত্তর আঙ্গিকে বিশ্নেষণধর্মী যে সুপারিশ বা মন্তব্য করেছে, তা এখন পর্যন্ত নির্বাহী বিভাগ আমলে নেয়নি। ২০১২ সালে বিষয়টি আমলে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে নির্বাহী বিভাগের এ-সংক্রান্ত ক্ষমতা প্রয়োগ দেশ-বিদেশে প্রশ্নবিদ্ধ হতো না।
চলমান বিতর্কে কিছু আদর্শিক বা অতি আদর্শিক মন্তব্যও পাওয়া গেছে। যেমন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য। শাসককে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়ার জন্যই ৪০১ ধারার জন্ম। উচ্চ আদালতের ২০১২ সালের মন্তব্যেও দুটি বিষয় উত্থাপন করা হয়। এক. ৪০১ ধারার প্রদত্ত নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য বিধি বা নির্দেশিকা প্রণয়ন যা প্রতিবেশী এক দেশ করেছে। দুই. ৪০১ ধারা চিরতরে বিলুপ্ত করা। দুই নম্বরে মন্তব্য যারা করেছেন, তারা হয়তো একটি আদর্শিক বা অতি-আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এসব কথা বলেছেন। এর পেছনে একমাত্র যুক্তি হলো বিচারিক আদালতের আদেশ নির্বাহী ক্ষমতাবলে হ্রাস বা সম্পূর্ণ পাল্টানোর অর্থ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা।