‘৪১ শতাংশ ভারতীয়ই তাঁদের প্রতিবেশী হিসেবে কোনও সমকামীকে চান না’
‘শরীর খুব খারাপ। প্লিজ় তাড়াতাড়ি এসো।’—রোবি রসকে টেলিগ্রাম করলেন অস্কার ওয়াইল্ড। তখন অক্টোবর মাস, ১৯০০ সাল। উদ্ভ্রান্তের মতো, কপর্দকশূন্য অবস্থায় কখনও ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কখনও হোটেলেই থাকছেন। জেলে থাকা অবস্থায় শরীরের যে অবনতি হয়েছিল, তা আর ঠিক হয়নি। ১৮৯৭ সালের মে মাসে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু অসম্মান, সর্বস্ব হারানোর পরে ইংল্যান্ডে আর থাকতে ইচ্ছে করছিল না তাঁর। তাই ফ্রান্সে পাড়ি দিয়েছিলেন।
ভাবা যায়, শুধুমাত্র সমকামী হওয়ার জন্য অস্কারের মতো ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলমধারীকে সামাজিক লাঞ্ছনা, টিটকিরি, উপেক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছিল! অথচ নাট্যব্যক্তিত্ব-সমালোচক তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের প্রাক্তন প্রধান আনন্দ লাল বলছেন, ‘‘নাটকের ‘কমেডি অব ম্যানার্স’ ধারার পথিকৃৎ ছিলেন অস্কারই। যেখানে তথাকথিত ‘এলিট’ বা অভিজাত সম্প্রদায়ের অন্তঃসারশূন্য সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে থেকে নির্মল হাসির উপাদান খুঁজে বের করতেন অস্কার। তার পরে তা বিলিয়ে দিতেন সাধারণ দর্শক-পাঠকের মধ্যে।’’