কেনিয়ার কালোবাজারে সন্তান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন যেসব মা
কেনিয়ায় কোন একজন নারী আডামার পরিস্থিতিতে পড়লে, তাদের পাচারকারীদের কব্জায় পড়তে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করে।
দেশটিতে গর্ভবতী মা বা শিশুর জীবন ঝুঁকিতে পড়লে তবেই গর্ভপাত বৈধ। ফলে এসব ক্ষেত্রে গর্ভপাতের জন্য বিকল্প হল ঝুঁকিপূর্ণ হাতুড়েদের শরণাপন্ন হওয়া।
এছাড়াও সমস্যা হল বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের যৌনতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষাদানের অভাব, বিশেষ করে গ্রাম এলাকায়। তাছাড়া বৈধ পথে শিশুকে দত্তক দেয়ার ব্যবস্থা সম্পর্কেও সচেতনতার বড় অভাব রয়েছে।
"কোন নারী বা কিশোরী গর্ভের সন্তান না চাইলে সরকারের দিক থেকে তাকে সাহায্য করার কোন ব্যবস্থা নেই," বলছেন হেল্থ পভার্টি অ্যাকশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কেনিয়া শাখার পরিচালক ইব্রাহিম আলি। "এসব নারী প্রায়শই গ্রামাঞ্চলে অবস্থার শিকার হন এবং তাদের একঘরে করার প্রবণতা থাকে, ফলে তারা পালানোর পথ বেছে নেন, এবং শহরে গিয়ে তারা ঝুঁকির মুখে থাকেন।"