ভাসানচরের চারণভূমি মাংস ও দুধের ভাণ্ডার
নোয়াখালীর ভাসানচর লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা এই চর হয়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বড় মহিষের চারণভূমি। চরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বেড়াচ্ছে মহিষের দল। এখানে মহিষের সংখ্যা ১২ হাজারের বেশি।
স্থানীয়রা জানান, দেশের মাংস এবং দুধের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে ভাসানচর। এখানে প্রায় ১২ হাজার মহিষ আছে। একেকটি দলে রয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ মহিষ। এটা এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় খামার।
জানা গেছে, সূবর্ণচরে থাকা কিছু মহিষ এক দশক আগে আবাস গড়ে এই ভাসানচরে। তারপর থেকে বাড়তে থাকে মহিষের সংখ্যা। শতাধিক বাথান মালিকের মহিষ রয়েছে ১২ হাজারের বেশি। এই চরের মহিষ বিক্রি হয় প্রতিটি এক লাখ টাকা দরে।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর প্রায় দুই-তিন হাজার মহিষ এখান থেকে বিক্রি হয়। এরা নিয়মিত বাচ্চা দেয়। বড় হলে বিক্রি করে দেন। ভালোই লাভ হচ্ছে।
ভাসানচরে নৌবাহিনীর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে গুরুত্ব দেয়া হয় মহিষের বিচরণ ভূমির ওপরেও। রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা আবাসনের পাশেই রাখা হয়েছে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মহিষের থাকার জায়গা।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- চরাঞ্চল
- মহিষ চরানোয় দণ্ড
- ভাসানচর