কারাবাখে সেনাবাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন তুর্কি পার্লামেন্টের
আজারবাইজানের কারাবাখ অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার তুর্কি পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি পাস হয়। তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মধ্যে নানা বিষয়ে মতপার্থক্য থাকলেও উভয় দলের সদস্যরাই এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। যদিও অন্য দুই বিরোধী দল ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি এবং দ্য গুড পার্টির সদস্যরাও এতে সমর্থন দেন। কারাবাখের যুদ্ধ বন্ধে সম্প্রতি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। এতে নতুন করে যেন দুই দেশের মধ্যে সংঘাত তৈরি না হয় সেটি নিশ্চিত করতে কারাবাখে রুশ ও তুর্কি বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়। চুক্তি অনুযায়ী এরইমধ্যে কারাবাখে রুশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় নিজ দেশের বাহিনী মোতায়েনের আগে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হয়েছে তুরস্ককে। বিশ্লেষকদের মতে, বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে অবস্থিত হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।