সৌমিত্রর মনের কেন্দ্রে বিরাজমান থেকেছেন রবীন্দ্রনাথ

আনন্দবাজার (ভারত) কলকাতা প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৫৪

বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক প্রধান স্তম্ভ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর সৃষ্টিপ্রতিভাকে বিভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করেছিলেন। বাংলার চলচ্চিত্র অভিনেতাদের মধ্যে এমন কোনও শিল্পী নেই, যাঁর একই সঙ্গে কবিতাসমগ্র, গদ্যসমগ্র এবং নাটকসমগ্র প্রকাশিত হয়েছে। আমার ধারণা, পুরো ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেতাদের মধ্যেও কবিতাসমগ্র, গদ্যসমগ্র এবং নাটকসমগ্র আছে, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক বার, একটি ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়, আমি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে একটা বোকার মতো প্রশ্ন করে ফেলি। কিন্তু প্রশ্নটি বোকার মতো হলেও যে-উচ্চতায় তাঁর উত্তরটিকে পৌঁছে দিয়েছিলেন এই শিল্পী, তা আমার কাছে বিশেষ ভাবে স্মরণীয় হয়ে আছে। আমার প্রশ্নটি ছিল এই রকম: আপনি তো অভিনয়ের মধ্য দিয়ে, সিনেমায় এবং নাটকে, দু’ভাবেই নিজের সত্তাকে প্রকাশ করতে পারেন। তা করেও চলেছেন অব্যাহত ভাবে। তা হলে আবার আপনার কবিতা লেখার দরকার হয় কেন? কবিতা তো মানুষ নিজেকে প্রকাশ করার জন্যই লেখে। আপনি তো অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে সেই প্রকাশ সম্ভব করতে পারছেন। তা হলে কবিতা কেন?

এই কথায় তিনি কিন্তু রেগে যাননি। উত্তরে বলেছিলেন, অভিনয়ের সময় কী হয় জানো, আমি কোনও একটা চরিত্রের অন্তরালে আত্মগোপন করি। বলা যায়, চরিত্রটিকে সামনে রেখে তার পিছনে লুকিয়ে পড়ি। বা, উবু হয়ে বসে থাকি। চরিত্রটিই তখন আমার আড়াল। এই বার সেই চরিত্রের সত্তার সঙ্গে নিজেকে অল্প অল্প করে মিশিয়ে চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলার কাজটা শুরু হয় আমার মধ্যে। কিন্তু কবিতা লেখার চেষ্টা যখন করি তখন ব্যাপারটা হয়ে যায় একেবারে অন্য রকম। তখন কোনও চরিত্রের মধ্যে ঢুকে আমাকে কথা বলতে হচ্ছে না আর। এই আমি, মানে আমার যা সারাংশ, তাকেই আমি সরাসরি কবিতায় বলতে পারছি। এই নিজের সারাংশকে বলার চেষ্টা আমার কলেজজীবন থেকেই সঙ্গে থেকে গেছে। এই ভাবে নিজের সত্তাকে প্রকাশ করে চলবার পথে সচল থেকেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সারা জীবনই, অভিনয়ের শত ব্যস্ততার মধ্যেও। একের পর এক কবিতার বই বেরিয়েছে তাঁর। যেমন, জলপ্রপাতের ধারে দাঁড়াব বলে, শব্দরা আমার বাগানে, হে সায়াহ্নকাল, পদ্মবীজের মালা। এ রকম পনেরো-ষোলোটি কবিতার বই আছে তাঁর। তিনি অনুবাদ করেছেন খলিল জিব্রানকে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও