দেশে রাজনৈতিক সংকট নেই, বিএনপিতে আছে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২০, ১৪:০১

প্রথম আলো: কোভিড-১৯-এর কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে অভিঘাত তৈরি করেছিল, তা মোকাবিলায় সরকার কমবেশি সফল। কিন্তু আপনারা ‘দলীয় কোভিড’ মোকাবিলা করতে পারলেন না কেন? সিলেটের পর নোয়াখালী, সবশেষ ঢাকার সাংসদ হাজি সেলিমের পুত্র ইরফান সেলিমের ঘটনার কী ব্যাখ্যা দেবেন?

হাছান মাহমুদ: সিলেটের এম সি কলেজের ঘটনায় আমাদের দলের কেউ জড়িত নন, নোয়াখালীতেও না। এঁরা হচ্ছেন মাস্তানজাতীয় লোক। ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে যাঁরা সমাজের সুবিধাবাদী, তাঁদের অনেকে দলের নাম ব্যবহারের চেষ্টা করেন। সব উন্নয়নশীল দেশে এটি হয়ে থাকে। এঁরা আমাদের দলের কোনো পদে নেই। আমাদের দলের নীতি হচ্ছে, এসব অপরাধ যাঁরা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার। এ ক্ষেত্রে কে কোন দলের, দেখা হচ্ছে না। যেসব আগাছা রাজনৈতিক পরিচয়ে অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে, যাঁরা সুবিধাবাদী এবং দলের নাম ভাঙিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে চান, তাঁদের তালিকা পাঠাতে। একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরিও হয়েছে।

গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো অভিযান হয়েছে, সবখানেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ধরা পড়েছেন। নোয়াখালীর নারী নিগ্রহের ঘটনায় সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ আইন করার সুপারিশ করেছে। আপনারা কি তা করবেন?

হাছান মাহমুদ: তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ দিতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি দেশে যেসব আইন আছে, সেগুলো যেকোনো অপরাধের শাস্তি দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। শাস্তি হচ্ছেও।

আওয়ামী লীগ থেকে বলা হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াতের লোকেরা দলে অনুপ্রবেশ করে অপরাধ সংঘটিত করছেন। এমনকি ফ্রিডম পার্টির লোকও ঢুকেছেন বলে অভিযোগ আছে। তাঁরা ঢুকলেন কীভাবে?

হাছান মাহমুদ: এ রকম খুব বেশি হয়েছে, তা নয়। তবে একটিও হওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে জামায়াত ও ফ্রিডম পার্টির কাউকে দলে জায়গা দেওয়ার কথা নয়। তারপরও যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও