কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অমানবিক!

মানবজমিন প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

অমানবিক। হৃদয়বিদারক। পৃথিবীর আলো দেখার আগেই এক অপূর্ণাঙ্গ মানব সন্তানের মৃতদেহ পড়ে আছে ময়লার ভাগাড়ে। অথচ তারও এ পৃথিবীতে সুষ্ঠুভাবে ভূমিষ্ঠ হওয়ার অধিকার ছিল। এ শিশুও হতে পারতো আলোকিত। দ্বীপ জ্বালাতে পারতো সমাজে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ শিশুতে রূপ নেয়ার আগেই তাকে হত্যা করা হলো। পৃথিবীর আলো দেখা থেকে বঞ্চিত করা হলো। এমন অমানবিক দৃশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনের। ৬ থেকে ৭ মাসের ভ্রূণ হত্যার এ ঘটনা প্রকাশ পায় গতকাল। বেলা ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখা যায় কাক আর কুকুর একটি পলিথিন ব্যাগকে ঘিরে টানাটানি করছে। লোকজন কাছে গিয়ে দেখেন অপূর্ণাঙ্গ এক মানবশিশুর মরদেহ উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। শরীরে পচন ধরেছে। কাকগুলো মুখের একাংশ এবং একটি চোখ ঠুকরে নষ্ট করে ফেলেছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড  শাহবাগ থানায় খবর দেন। বিকালে পুলিশ গিয়ে শিশুর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা- এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। এ পঙ্‌তি যেন ভুল। প্রশ্ন হলো- কেন এ পরিণতি?  প্রত্যক্ষদর্শী একজনের মন্তব্য- হয়তো শিশুটির জন্ম পরিচয় নিয়ে কোনো সংকট ছিল। তাই বলে শিশুটিকে এভাবে অঙ্কুরেই শেষ করে দিতে হলো? পাষাণ হৃদয় না হলে কেউ এমনটা করতে পারতো না। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার এসআই আমিনুল হক মানবজমিনকে বলেন, একটি ভ্রূণ শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। ৬ থেকে ৭ মাস বয়সের ভ্রুণ  হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভ্রূণ। ভ্রূণটি ছেলে শিশু। ধারণা করা হচ্ছে চার থেকে পাঁচদিন আগে ভ্রূণটি এখানে কেউ ফেলে রেখে গেছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছন দিকে হওয়াতে সেখানে মানুষের আনাগোনা খুবই কম। ভ্রূণটির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আমরা এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত