‘অর্থনৈতিক অবস্থা যত ভালো হবে অভিবাসন তত বাড়বে’
ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী৷
তার মতে, বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে তারা যে দেশে যাচ্ছেন, তাদের ধারণা সেখানে থাকতে পারলে কয়েক মাসের মধ্যে এই টাকা উঠে যায়৷ সঙ্গে একটা বেটার লাইফও মেলে৷
ডয়চে ভেলে : বসনিয়ার জঙ্গলে কয়েকশ' বাংলাদেশি মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন৷ ডয়চে ভেলের দুইজন সাংবাদিক সরেজমিনে সেখানে গিয়ে তাদের করুণ অবস্থার চিত্র দেখেছেন৷ সাগর পথেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে যাওয়ার কথা আমরা জানি৷ এই প্রবণতা কেন?
অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী : একটা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করে আসছে৷ যারা মধ্যপ্রাচ্যে গেছেন তাদের অনেকেই কাজ শেষ করে দেশে ফেরার সময়ে চেষ্টা করেন ইউরোপে ঢুকে যেতে৷ আবার আমাদের মফস্বল শহরগুলোর অনেক স্নাতক অভিবাসন করতে চান৷ কারণ তারা ‘ছোট’ চাকরি করতে চান না৷ এদের অনেকেরই ইউরোপে কানেকশন আছে৷ সেখানে থাকা আত্মীয়রা বলেন, কোনভাবে এখানে এসে পড়তে পারলে পরবর্তী কাজের সুযোগগুলো তারা করে দেবেন৷ এই পরিস্থিতিতে তারা খানিকটা জেনে, খানিকটা না জেনে এই পথে পা বাড়ান৷ আর এই সুযোগটা নেয় দালাল বা সাব এজেন্টরা৷ আগে আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ থেকে সরাসরি প্লেনে সিরিয়া নেমে সেখান থেকে ইউরোপ যেতেন৷ পরে দেখেছি, ভারত হয়ে তারা যাচ্ছেন৷ সম্প্রতি আমরা দেখছি, তারা বসনিয়ার পথ ধরে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে আটকে আছেন৷ এই মানুষগুলো অভিবাসনের ফলাফল জানেন৷ যদি তারা একবার পৌঁছে যেতে পারেন তাহলে লুকিয়ে থেকে কাজ করার সুযোগ পান বা অনেক সময় ক্ষমাও প্রদর্শন করা হয়৷ এইসব চিন্তা থেকেই তারা এই পথে যাচ্ছেন৷