রোহিঙ্গা শিবিরে থামছেনা দু’গ্রুপের সংঘর্ষ
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প অভ্যন্তরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছে সাধারণ রোহিঙ্গারা।
জানাগেছে, হামলা আর হত্যায় উখিয়া থানায় দায়ের করা হয়েছে ৪টি মামলা। তারপর ও থামেনি রোহিঙ্গা দু’গ্রুপের সংঘর্ষ। আরসা ও মুন্না এ ২ গ্রুপের দফায় দফায় হামলার ঘটনায় গত ৫ দিনে ৪ খুন, অর্ধশতাধিক আহত, শতাধিক ঝুঁপড়ি ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতরা হলেন, ইমাম শরীফ, শামসুল আলম, মো: ইয়াছিন ও সমিরা আকতার।
গত রাতে পুলিশ ও র্যাব অভিযান চালিয়ে ১০ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৪টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, বিশ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলি উদ্ধার করা হয়। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে অতিরিক্ত আর্মড ব্যটালিয়ান মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ রোহিঙ্গরা বলছেন, আরসা ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে এক ধরণের ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আরসার ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ, শিশু কুতুপালং টু ইস্ট ক্যাম্পে অবস্থিত মরকজে অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে রোহিঙ্গা নেতা আহম্মদ উল্লাহ। তিনি বলেন, দিনের বেলায় আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার থাকার কারণে আরসা গ্রুপের তৎপরতা কম দেখা গেলেও রাতের বেলায় তাদের স্বশস্ত্র মহড়া চলে।